
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কুষ্টিয়ায় জেলা পরিষদ নির্মিত একটি নয়তলা ভবনের দোকান বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর থেকে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে দুদকের একটি টিম।
জানা গেছে, নির্মাণকাজ থেকে শুরু করে দোকান বরাদ্দ - সবক্ষেত্রেই অনিয়মের ছাপ রয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই বিষয়টি আমলে নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়।
এদিন দুপুর ১২টা থেকে জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা শুরু করে দুদকের তদন্ত দল। প্রাথমিকভাবে ভবন নির্মাণ ব্যয়,দোকান বরাদ্দের প্রক্রিয়া ও অর্থ পরিশোধের রেকর্ড ঘেঁটে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, ৪১ কাঠার জমিতে নির্মিত এই নয়তলা ভবনের প্রথম থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত রয়েছে ২৫২টি দোকান। ষষ্ঠ তলায় জেলা পরিষদের নিজস্ব কার্যালয়, সপ্তম তলায় বিআরবি গ্রুপের অফিস, আর অষ্টম ও নবম তলায় রয়েছে লালন ও কলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন,ভবনের অর্থ জোগাড় হয়েছে মূলত মার্কেটের দোকান বরাদ্দ বাবদ পাওয়া টাকায়।যারা সে সময় দায়িত্বে ছিলেন, তাদের কার্যক্রম নিয়ে নানা অভিযোগ গণমাধ্যমে এসেছে। দুদক সে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
দোকান বরাদ্দে অনিয়ম বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,প্রত্যেক দোকানদারকে ৫ কিস্তিতে অর্থ পরিশোধের শর্তে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কেউ ২টি কিস্তি দিয়েছে,কেউবা ৩টি, এরপর থেকেই অনেকে পলাতক। তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। অনিয়ম পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে দুদকের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় জানান,রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। যাদের আমলে বরাদ্দ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তারা বর্তমানে অন্যত্র বদলি হয়েছেন। বর্তমান কর্তৃপক্ষ রেকর্ড সরবরাহে সহযোগিতা করছেন। তদন্ত শেষে অনিয়ম পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মিরাজ খান