
ছবি: সংগৃহীত
মাত্র পাঁচ মাস আগে মেরিন অফিসার অনুরাগ সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মধু সিংহের (৩২)। কিন্তু ৫ আগস্ট লখনউয়ের নিজ বাড়িতে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। স্বামী বলছেন আত্মহত্যা, তবে পরিবার বলছে—এটা খুন।
বিয়ের সময় অনুরাগ ১৫ লাখ টাকা পণ দাবি করেন, যদিও মধুর পরিবার দিতে পারে মাত্র ৫ লাখ। বিয়ের এক মাসের মাথায় মধুকে মারধর করেন অনুরাগ। পরে পণ পরিশোধ করে ফেরত পাঠানো হলেও নির্যাতন থামে না।
মধুর বোন প্রিয়া জানান, বিয়ের পর থেকেই অনুরাগ তাকে বন্ধু, আত্মীয়-পরিজন সবার থেকে আলাদা করে দেন। ফোন, কললিস্ট, অনলাইন অর্ডার—সব কিছুতেই নজরদারি। সামান্য ভুলে যেমন প্লেট কোথায় রাখা হয়েছে তা নিয়েও মারধর করতেন।
মধুর বাবা অভিযোগ করেছেন, অনুরাগের এক্স-গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এবং তারা একসঙ্গে হোটেলেও রাত কাটান। মধু গর্ভবতী হলে জোর করে গর্ভপাত করান অনুরাগ। মধু এসব নিয়ে প্রমাণসহ বোনকে জানিয়েছিলেন।
অনুরাগ দাবি করেন, দুপুরে মধুকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়ে পুলিশে ফোন করেন, কিন্তু পরিবারের খবর দেন বিকেল ৪টা ৩০-এ। ওই দিন সকালে তিনি খাবার অর্ডার দেন এবং গৃহকর্মীকে আসতে নিষেধ করেন।
পুলিশ অনুরাগকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পণ-সংক্রান্ত নির্যাতন ও অন্যান্য ধারায় মামলা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আত্মহত্যার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর অনুরাগ বারবার সিগারেট চাইছিলেন।
আবির