
ছবিঃ সংগৃহীত
ফরিদপুরের মধুখালীতে খাল খননের পর খালের অতিরিক্ত মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে করে এখন পর্যন্ত ২৫টি বসতবাড়ি ধসে পড়েছে এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে আরও ৩২টি পরিবার। ধসে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে পাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কও—যেটিতে ইতোমধ্যে ফাটল ধরেছে এবং কিছু অংশ দেবে গেছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের খালের দুই পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের অধীনে ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মধুখালী উপজেলার গড়িয়াদহ খালের প্রায় ৩ দশমিক ২৫ কিলোমিটার অংশ পুনঃখননের কাজ করা হয়। ১২ মার্চ উত্তোলিত মাটি নিলামে তোলা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বিভাগের খাল পুনঃখননের সময় উত্তোলিত অতিরিক্ত মাটি অপসারণের জন্য উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে দরপত্র কিনেছেন এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা সেই মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছেন। ফলে খালের দুই পাশের বসতবাড়ি ও রাস্তার ভূমি দুর্বল হয়ে ধসে পড়ছে।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু রাসেল জানান, রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী খালের অতিরিক্ত মাটি সাইড থেকে অপসারণের বিষয়ে তাকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেন। এরপর তিনি উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে মাটি অপসারণের দরপত্র দেন এবং রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল খননের ডিজাইন অনুযায়ী কাটা হয় বলে জানান।
বাড়িঘর ও রাস্তা ক্ষতির বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে বলেও জানান ইউএনও। তিনি বলেন, প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের আপদকালীন সহায়তার জন্য ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
মারিয়া