
ছবি: সংগৃহীত
ইরানে বুধবার পৃথক দুটি মামলায় দুই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদের একজনকে ইসরায়েলের জন্য গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে এবং আরেকজনকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
ইরানের বিচার বিভাগের সংবাদ ওয়েবসাইট মিজানঅনলাইন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত গুপ্তচর রুজবেহ বাদি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছে গোপন তথ্য সরবরাহ করতেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাদি এক ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীর তথ্য মোসাদকে দিয়েছিলেন, যিনি ইসরায়েলের জুন মাসের বিমান হামলায় নিহত হন। তবে ওই বিজ্ঞানীর নাম, হত্যার স্থান বা বাদির গ্রেপ্তারের সময় উল্লেখ করা হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রুজবেহ বাদি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় মোসাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পাঁচবার সাক্ষাৎ করেছিলেন।
ইসরায়েলে ফ্রান্সে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত যোশুয়া জারকা জুন মাসে বলেছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধে অন্তত ১৪ জন পরমাণু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট পদার্থবিদ ও প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন।
এই সংঘাতের সময়ে ইরান এখন পর্যন্ত গুপ্তচারের দায়ে সাতজনকে ফাঁসি দিয়েছে, যা নিয়ে মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, সরকার হয়তো আরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারে।
এছাড়া, মিজানঅনলাইনের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর এক সদস্যকে বিচারের রায় অনুযায়ী ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের নাম মেহদি আসগারজাদে।
তাকে সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং পরে একটি চার সদস্যের দলের সঙ্গে অবৈধভাবে ইরানে প্রবেশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ওই দলের বাকি সদস্যরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়, বলছে মিজানঅনলাইন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছে এবং উভয় মামলায় সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
আবির