
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় রায় দিয়েছে, যেখানে আদালত জানায়, ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, যদিও কারো সম্মতি ছাড়াই সংগ্রহ করা হয়, তা ফ্যামিলি কোর্ট আইন অনুসারে প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা যাবে।
এই মামলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর অভিযোগ ছিল, তিনি স্ত্রীর ফোনে গোপনে একটি স্পাই অ্যাপ ইনস্টল করে তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছেন। তবে ওই ব্যক্তির স্ত্রী এই প্রমাণ গ্রহণে বিরোধিতা করেন। তিনি জানান, এটি তার গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করেছে। তবে হাইকোর্ট বলেছে, গোপনীয়তার অধিকার সার্বভৌম নয় এবং কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে।
রায়টি ঠিক বা ভুল যা-ই হোক, চলুন জেনে নিই স্মার্টফোনে স্পাই অ্যাপ ইনস্টল আছে কিনা, তা সহজে খুঁজে বের করার জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
১. স্মার্টফোনের অস্বাভাবিক আচরণ
- ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়া
- ডেটার অস্বাভাবিক ব্যয়
- ফোন অতিরিক্ত গরম হওয়া
- কল চলাকালীন অদ্ভুত শব্দ বা ফোনে অপ্রত্যাশিত অ্যাপ খোলা/বন্ধ হওয়া
২. ইনস্টল করা অ্যাপগুলো রিভিউ করুন
- অজানা বা সন্দেহজনক নামের অ্যাপ খুঁজে বের করুন
- যেসব অ্যাপ অতিরিক্ত পারমিশন চায় (ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, লোকেশন) সেগুলো পরীক্ষা করুন
- আইফোনে কনফিগারেশন প্রোফাইল আছে কিনা দেখুন (Settings > General > VPN & Device Management)
৩. অবৈধ অ্যাকাউন্ট বা লগইন খুঁজে বের করুন
- সেটিংস থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট তালিকা পর্যালোচনা করুন
- অজানা ইমেল বা ক্লাউড সেবায় লগইন আছে কিনা দেখুন
- সন্দেহজনক পাসওয়ার্ড রিসেট বা লগইন নোটিফিকেশন চেক করুন
৪. পারমিশন এবং সেটিংস মনিটর করুন
- কোন অ্যাপ কোন পারমিশন নিয়েছে তা যাচাই করুন
- Accessibility সেটিংসে অজানা সার্ভিস আছে কিনা দেখুন
- অ্যান্ড্রয়েডে ‘Install unknown apps’ নিষ্ক্রিয় আছে কিনা নিশ্চিত করুন
৫. নেটওয়ার্ক অ্যাক্টিভিটি পর্যবেক্ষণ করুন
- ফোন থেকে অজানা সার্ভারে ডেটা পাঠানো হচ্ছে কিনা মনিটর করুন
- ওয়াই-ফাই রাউটারের লগ পরীক্ষা করুন
এই সতর্কতা মেনে চললে আপনি গোপনে ইনস্টল হওয়া স্পাই অ্যাপ বা অননুমোদিত নজরদারি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় সচেতন থাকা আজকের দিনে অত্যন্ত জরুরি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রাকিব