ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

পাঠাও সহ-প্রতিষ্ঠাতা

ফাহিম সালেহকে হত্যাকারীর ৪০ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফাহিম সালেহকে হত্যাকারীর ৪০ বছরের কারাদণ্ড

পাঠাও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ ও খুনি টাইরেস হাসপিল

প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহকে হত্যা ও তার মরদেহ টুকরো টুকরো করার দায়ে তারই সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হাসপিলকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির বরাত দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ফাহিম। একইসঙ্গে তিনি নাইজেরিয়াভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ ‘গোকাদা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও ছিলেন। ২০২০ সালের ১৪ জুলাই তার ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে তার ছিন্নভিন্ন মরদেহ পাওয়া যায়। 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ বলেন, ‘ফাহিম সালেহ একজন দয়ালু, উদার ও সহানুভূতিশীল ব্যক্তি। যিনি বিশ্বকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছেন। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা ও টুকরো টুকরো করার দায়ে আজ টাইরেস হাসপিল জবাবদিহিতার মুখোমুখি হচ্ছেন। তার অর্থ চুরির কথা জানার পরও ফাহিম সালেহ তাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দিয়েছিলেন।’ 

হাসপিল ফাহিম সালেহের কোম্পানি থেকে ছয় লাখ ডলার চুরি করেছিলেন। চলতি বছরের জুনে হত্যা, অর্থ চুরিসহ ২০২০ সালে ফাহিমের মৃত্যুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিযোগে হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। 

প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। নিয়োগ পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই হাসপিল তার ব্যবসার অর্থ চুরি করা শুরু করেন। এক বছর পর কাজ ছেড়ে দেন হাসপিল। কিন্তু অর্থ চুরি অব্যাহত রাখেন। ফাহিম তার অর্থ চুরির বিষয়টি জানতে পারলে হাসপিলকে মামলা থেকে বাঁচাতে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুই বছর সময় দেন। কিন্তু এরপরও তিনি অর্থ চুরি করা অব্যাহত রাখেন। এ বিষয়ে ফাহিম জেনে যেতে পারেন এ শঙ্কায় হাসপিল তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।  

২০২০ সালের ১৩ জুলাই হাসপিল একটি কালো পোশাক ও মাস্ক পরে সালেহের পিছু পিছু মেনহাটনে তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লিফটে ওঠেন। ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে লিফটের দরজা খুলে গেলে একটি টেজার দিয়ে হাসপিল তার পিঠে ইলেক্ট্রিক শক দেন। এতে ফাহিম মেজেতে পড়ে যান। হাসপিল তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। 

এরপরের দিন হাসপিল একটি বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমের শরীর টুকরো টুকরো করার জন্য অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসেন। ফাহিমের মরদেহ কাটার সময় হঠাৎ করাতের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। তখন তিনি চার্জার কিনতে বাহিরে যান। তখন ফাহিমের চাচাতো ভাই অ্যাপার্টমেন্টে এসে তার ছিন্নভিন্ন মরদেহ দেখতে পান। এর কয়েকদিন পর পুলিশ হাসপিলকে গ্রেপ্তার করে।

 

শহিদ

×