ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

স্কেলটা শপ আস্থায় কেনাকাটা

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ২ এপ্রিল ২০২২

স্কেলটা শপ আস্থায় কেনাকাটা

ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন কেনাকাটা চলছে ঘরে বসেই। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের পণ্য এখন আপনি ই-কমার্স সাইটের কল্যাণে কিনতে পারবেন। প্রযুক্তি আমাদের এই সুবিধা করে দিয়েছে। তবে আমাদের দেশীয় ই-কমার্স সাইটের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর না। হাতেগোনা কয়েকটি সাইট বাদ দিলে বেশির ভাগ সাইটই তাদের পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখে না। সহজ কথা, কম মূল্যে পণ্য কিনে সুন্দর লাইট ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে বেশি দামে বিক্রি করার প্রবণতা সবার মাঝে। অনলাইন মার্কেটে এটি এক ধরনের অস্থিরতা। তার মধ্যে ‘আস্থায় কেনাকাটা’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে নতুন একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম ‘স্কেলটা শপ’ যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। ক্যাশ অন ডেলিভারিতে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া কোন ধরনের পণ্য মজুদ করা কিংবা অগ্রিম টাকা নেবে না বাজারে আসতে চলা প্রতিষ্ঠানটি। স্কেলটা শপে ফ্যাশন এ্যাকসেসরিজ থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিকস, হোম এ্যাপ্লায়েন্স, স্মার্টফোন গেজেট, হস্তশিল্পসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যই পাওয়া যাবে। এটি স্কেলটা বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। স্কেলটা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোল্লা মোঃ সজীবুল ইসলাম বলেন, ‘ই-কমার্স শিল্পের এক বিপ্লবের সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে মানুষ অনলাইনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। অনেক সময় তারা যে পণ্যটি অর্ডার করে সেটি ডেলিভারি না দিয়ে অন্য কোন পণ্য পাঠিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সম্ভাবনাময় এই শিল্পের বিপ্লব হওয়ার আগেই তা শেষের পথে। এমন অবস্থায় আমরা কয়েকজন তরুণ উদ্যোক্তা এই শিল্পের বিকাশে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আবারও মানুষের আস্থার জায়গা ই-কমার্স ফিরবে আমি আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, আমরা আগে পণ্য দেব, তারপর টাকা নেব। পণ্য পছন্দ না হলে ক্রেতার টাকা দেবে না। আর কেস অন ডেলিভারিতে গ্রাহক প্রতারণা শিকার হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা পণ্যের গুণগত মানের বিষয়ে কোন ছাড় দেব না।’ স্কেলটা বাংলাদেশ লিমিটেডের প্ল্যানিং ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, ইকমার্স ওয়েবসাইট বা স্টোর নিসন্দেহে শপিংয়ের ভবিষ্যত। অনলাইন কেনাকাটার জন্য ক্রেতারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের প্রতি নির্ভরশীল হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্কেলটা গ্রাহকদের মনে জায়গা করে নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। করোনাকালীন সময়ে দোকানপাট যখন বন্ধ ছিল তখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ দৈনন্দিনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে ছিলেন। ভবিষ্যতেও ক্রেতারা অনলাইনে মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয়ের প্রবণতা বাড়বে। আইটি প্রতিবেদক
×