
ছবি: সংগৃহীত
ঘানার একজন খ্রিস্টান যাজক সম্প্রতি গির্জার ভেতর ধর্মীয় বক্তৃতায় ইসলাম ধর্মের উদাহরণ টেনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যে আন্তধর্মীয় সম্মান ও বোঝাপড়ার আহ্বান ছিল, যা অনেকেই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন।
বক্তৃতায় যাজক প্রশ্ন তুলেছেন খ্রিস্টানদের গির্জার অনুশীলন ও শৃঙ্খলা নিয়ে। তিনি তুলনামূলকভাবে মুসলিমদের ধর্মচর্চায় থাকা নিয়মানুবর্তিতা ও গভীর ভক্তির প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এই দিকগুলো খ্রিস্টানদের মধ্যেও থাকা উচিত, কিন্তু তা অনেক সময় অনুপস্থিত থাকে।
যাজক বলেন, “মুসলিমরা যখন মসজিদে প্রবেশ করে, তখন তারা জুতা খুলে, পা ধুয়ে, নিজেকে পরিচ্ছন্ন করে নেয়। এমন কঠোর শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া গির্জায় চালু হলে অনেকে হয়তো আর আসতো না।”
তিনি আরও বলেন, মুসলিমরা মাদুরে বসে প্রার্থনা করে, রাসুল মুহাম্মদ (সা.)-এর নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করে এবং ইমামদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখায়।
এই প্রসঙ্গে যাজক খ্রিস্টান সমাজে নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতা নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেন। তাঁর ভাষায়, “আমরা আমাদের ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে কাগজে-কলমে ব্যঙ্গ করতে পিছপা হই না।”
যাজকের সবচেয়ে সাহসী বক্তব্য আসে, যখন তিনি ‘গ্রেসের মাধ্যমে পরিত্রাণ’ (Saved by Grace) বিষয়ে প্রচলিত খ্রিস্টান ভাবধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। তিনি মনে করেন, বিশ্বাসের পাশাপাশি শৃঙ্খলা ও আচরণগত দায়িত্ববোধ থাকা জরুরি।
বক্তব্যের শেষে যাজক বলেন, “ভালো খ্রিস্টান হতে চাইলে একজন মুসলিম ইমামের অনুমতি নিয়ে এক সপ্তাহ মসজিদে সময় কাটানো উচিত। এমনকি একজন ঈমানদার মুসলিমকে অনুসরণ করাও হতে পারে একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা।”
যাজকের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসা ও বিতর্ক দুই-ই কুড়িয়েছে। অনেকে এটিকে আন্তধর্মীয় সংলাপের ইতিবাচক উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।
শিহাব