
ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীর ক্ষুদ্র জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইহুদি জাতি, যাদের মোট জনসংখ্যা মাত্র প্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৭৩ লাখ ইসরাইলের নাগরিক। অন্যদিকে, বিশ্ব মুসলিম জনসংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি, যা মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের কাছাকাছি। সংখ্যায় ক্ষুদ্র হলেও ইহুদি জাতি বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, মিডিয়া ও যুদ্ধ–শান্তির নানা প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এই নিয়ন্ত্রণের ব্যবহারে তারা বারবার মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও অস্তিত্ব বিনাশী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন ইসলামিক সূত্রে উঠে এসেছে।
ইহুদিদের সম্পর্কে ইসলামী গ্রন্থ কোরআন ও হাদীসে একাধিকবার উল্লেখ এসেছে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাদের অবাধ্য, প্রতারণাকারী ও নবী-বিদ্বেষী জাতি হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে।
সূরা আল-বাকারা (২:৮৭)
আল্লাহ বলেন, “যখনই কোন নবী এমন কিছু নিয়ে এসেছেন যা তোমাদের মনঃপূত হয়নি, তখন তোমরা অহংকারে পতিত হয়েছ। তাদের একদলকে তোমরা মিথ্যা বলেছ, আর একদলকে হত্যা করেছ।”
সূরা আরাফ (৭:১৪৮):
“হযরত মুসা (আ.) যখন তুর পাহাড়ে আল্লাহর সাথে কথা বলছিলেন, তখন তারা নিজেদের জন্য গরুর মূর্তি বানিয়ে পূজা শুরু করে। তারা বলেছিল, এই গরুই আমাদের উপাস্য।” আল্লাহ তাদের ওপর অভিশাপ বর্ষণ করেন।
ইতিহাস অনুযায়ী, ইহুদি জাতি বহু নবীকে অস্বীকার করেছে ও তাদের হত্যা করেছে। হাদীসে উল্লেখ আছে:
* হযরত জাকারিয়া (আ.) ও হযরত ইয়াহইয়া (আ.)-কে নির্মমভাবে হত্যা করে।
* হযরত ঈসা (আ.)-কে হত্যার ষড়যন্ত্র করে, যদিও আল্লাহ তাকে রক্ষা করেন।
* রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে হত্যার জন্য মদিনার বিভিন্ন ইহুদি গোত্র যেমন খায়বার ও তায়েফ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল।
সহীহ মুসলিম ও বুখারী হাদীসে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, কিয়ামতের পূর্বে মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে এক চূড়ান্ত যুদ্ধ সংঘটিত হবে। সেই যুদ্ধে প্রকৃতির উপাদান পর্যন্ত মুসলমানদের পক্ষ নিবে। হাদীসে বলা হয়:
“যখন ইহুদিরা গাছ বা পাথরের আড়ালে লুকাবে, তখন গাছ বা পাথর বলবে, ‘হে মুসলমান! আমার পেছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, এসো তাকে হত্যা করো।’”
ইহুদি জাতি তাদের ইতিহাসে বহুবার আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছে এবং আল্লাহর নবীদের অস্বীকার ও হত্যা করেছে। কোরআন ও হাদীস এই জাতির বিরুদ্ধে মুসলিমদের সতর্ক করে এসেছে এবং ভবিষ্যতে এক চূড়ান্ত যুদ্ধের পূর্বাভাস দিয়েছে, যেখানে ন্যায়ের বিজয় হবে বলেই ইসলামী বিশ্বাস।
ছামিয়া