
রাজধানীর উত্তরায় মোবাইল জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তারা সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও নৈতিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামান বলেন, “আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে তোষামোদি সাংবাদিকতা দেখতে চাই না। সাংবাদিকেরা যেন রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করতে পারে—সেটাই হওয়া উচিত সাংবাদিকতার মূল চেতনা।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত সরকার সাংবাদিক সমাজের ওপর জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়াই তার বড় প্রমাণ। আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিকদের কল্যাণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবো এবং উত্তরা প্রেসক্লাবসহ সকল সাংবাদিক সংগঠনের পাশে থাকবো।”
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. মিজানুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আফাজ উদ্দিন আফাজ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির উত্তরা জোন সভাপতি মো. হেলাল তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, সাবেক বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন সরকার টিপু, উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম।
দৈনিক মহাযুগ পত্রিকার সম্পাদক ফরিদ আহমেদ নয়ন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই রাজনীতিবিদরা সাংবাদিকদের পাশে থাকবেন—নয় উপরে, নয় নিচে—একসঙ্গে।”
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মোবাইল জার্নালিজমের বেসিক প্রশিক্ষণ দেন বাংলাদেশ টাইমস-এর সাংবাদিক ও মোজো এডিটর-ইন-চিফ সাব্বির আহমেদ। সঞ্চালনা করেন টঙ্গী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবাল।
সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে এই আয়োজন সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় বলে মত প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা।
Jahan