
ছবি: জনকণ্ঠ
মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে উন্নতমানের পোনা প্রয়োজন। কিন্তু জলাশয় ভরাট, পরিবেশ দূষণসহ বিভিন্ন কারণে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন ব্যাহত হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে উন্নতমানের যে পোনা পাওয়া যেত তা কমে যাচ্ছে। তাই পোনা উৎপাদনে কৃত্রিম প্রজননের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। পোনা উৎপাদন এবং মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সিলেটে অধিক সংখ্যক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
শনিবার (২১ জুন) সিলেটে অনুষ্ঠিত বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের মৎস্য চাষী এবং উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে নগরীর মির্জা জাঙ্গালে নির্ভানা ইন কমপ্লেক্সের কনফারেন্স হলে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসাদুল বাকীর সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর প্রকল্প পরিচালক মো. মশিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ্বাস। কর্মশালার শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, পঞ্চাশ-ষাটের দশকে সরকারিভাবে নির্মিত মৎস্য খামারগুলোর অবকাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উত্তম মাছ চাষ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মৎস্য চাষের আধুনিকায়নের মাধ্যমে এ খাতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। এছাড়া মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি কর্মশালায় আগত জেলার মৎস্য খামারীদের বিভিন্ন সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধানের ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন। কর্মশালায় অন্যান্য বক্তারা জানান, জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৮ অর্থাৎ চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটি মৎস্য অধিদপ্তরের নেতৃত্বে সকলের প্রচেষ্টায় সফলতার মুখ দেখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শহীদ