
ছবিঃ জনকণ্ঠ
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করলো মনপুরা সাইন্স এন্ড ইনোভেশন ক্লাব।৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ও বিজ্ঞান মেলা ২০২৫-এ ভোলা জেলার এই ক্লাবের তিনজন সদস্য — মোঃ তাহাসিন, মোঃ ফজলে রাব্বী ও মোঃ সামি — গর্বিতভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এই বছরের জাতীয় বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৮-২০ জুন তারিখে।
এই মেলায় মনপুরা সাইন্স এন্ড ইনোভেশন ক্লাব উপস্থাপন করে তাদের উদ্ভাবিত ৩টি ব্যতিক্রমধর্মী বিজ্ঞানপ্রজেক্ট:
১. Children Safety Device:
মাত্র ৮ গ্রাম ওজনের এই ডিভাইসটি শিশুকে পানিতে পড়ে মৃত্যু থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। শিশুটি পানিতে পড়লেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিভাবকের ফোনে কল চলে যাবে ও বাসায় অ্যালার্ম বাজবে।
পরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনা:
শিশুর কোমরে ৫০ গ্রাম ওজনের একটি বেল্ট থাকবে, যাতে গ্যাস-বেলুন সংযুক্ত থাকবে। পানিতে পড়ার সাথে সাথে সেই বেলুনটি ফুলে উঠবে এবং শিশুটিকে ভাসিয়ে রাখবে।
২. Farmer Assistant Machine:
এই পরিবেশবান্ধব যন্ত্রটি একসাথে ৪-৫ জন কৃষকের কাজ একাই করতে পারে। কৃষিকাজে সময় ও শ্রম বাঁচাতে এটি একটি বড় উদ্ভাবনী উদ্যোগ।
৩. Farmer Sun Safety Cap:
মাত্র ৫০০ গ্রাম ওজনের এই বিশেষ ক্যাপ কৃষকদের রোদের রৌদ্র থেকে রক্ষা করবে এবং মাথার কাছে বাতাস সরবরাহ করবে। এতে রয়েছে ইউনিক ডিজাইন ও সহজ ব্যবহারযোগ্যতা।
মনপুরা সাইন্স এন্ড ইনোভেশন ক্লাবের মূল উদ্যোক্তা এবং আবিষ্কারক তাহাসিন ভবিষ্যতে মানুষের জীবন- মন সহজ আরো আধুনিক কিছু আবিস্কার করতে চায় এবং তার বাস্তব প্রতিফলন করার জন্য কাজ করে যেতে চায়।
আলীম