
ছবি: জনকণ্ঠ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী দিয়াকুল আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা সুখে নেই। গত বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়কের মাটি সরে গিয়ে গর্তে সৃষ্টি হয়। যা এখনো সংস্কার করা হয়নি। চলতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ের পানি সড়ক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সড়কটি খালে পরিণত হয়েছে। অনুমোদন ব্যতিরেখে অনেকে করছে নতুনভাবে স্থাপনা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দোহাজারী দিয়াকুল আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৯৯৯ সালে দিয়াকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত ১’শ টিনের ঘর ভেঙে ২০২৩ সালে নতুন করে ১১৬ পরিবারের জন্য পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। এ সকল পরিবারের চলাচলের একমাত্র সড়কটি গত বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ের পানি একই সড়কে প্রবাহিত হয়ে সড়কটি খালে পরিণত হয়েছে। পাহাড় কেটে আশ্রয়ণের এসব ঘর নির্মাণ করা হলেও পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হয়নি পরিকল্পিত ড্রেন। ফলে গত বর্ষায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মধ্যখানের যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি মাটি সরে গিয়ে গর্তে পরিণত হয়েছে।
চলতি বছর পুণরায় পাহাড়ের প্রবাহিত বৃষ্টির পানি একই সড়ক দিয়ে চলাচলের কারণে সড়কটি খালে পরিণত হয়। এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও অধ্যবদি সংশ্লিষ্টরা সড়কটির মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে এ সকল পরিবারের সদস্যরা চলাচলে দারুণ কষ্টে রয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় পানি নিষ্কাশনের কোন রকম ড্রেইনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে পাশ^বর্তী পাহাড়ের পানি সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করে। সড়কে বেলে মাটি থাকার কারণে বৃষ্টির পানির সাথে মাটি সরে গিয়ে গর্তে পরিণত হয়।
এদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার একাধিক বাসিন্দা অনুমতি ব্যতিরেখে নিজে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করেছে। পাশাপাশি শহিদুল ইসলাম নামের একব্যক্তি একটি মুরগি ফার্ম তৈরি করে পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। অপরদিকে অনুমতি ব্যতিরেখে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন সরকারের খাস জায়গায় বসতঘর নির্মাণ করেছে। এ সকল ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও দোহাজারী পৌর প্রশাসক ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের সড়ক সংস্কারের প্রকল্প দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে সংস্কার কাজ করা হবে। অবৈধভাবে সরকারি খাস জায়গায় কেউ স্থাপনা করলে সরেজমিনে দেখে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
ছামিয়া