
ছবি: জনকণ্ঠ
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক ও অলিকুলের শিরোমণি হজরত শাহ মোহছেন আউলিয়ার (রহ.) বার্ষিক ওরশ ২০ জুন (শুক্রবার) চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগীর আগমনকে কেন্দ্র করে ওরশ উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
মাজার পরিচালনা ও ওরশ উদ্যাপন কমিটির পক্ষ থেকে দরগাহ চত্বরে গেইট, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জাসহ সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ওরশকে ঘিরে বটতলীসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আত্মীয়-স্বজনের আগমন শুরু হয়েছে বুধবার থেকেই। দিনটি স্থানীয়ভাবে একটি বৃহৎ মিলনমেলায় পরিণত হয়, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকে।
ওরশ উপলক্ষ্যে ধর্মীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মহফিল, ধর্মীয় আলোচনা, আখেরি মোনাজাত ও তাবারুক বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। এইসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মাজার কমিটির যুগ্ম মোতাওয়াল্লী এস এম ফজলুল করিম, এস এম জহিরুল ইসলাম, এস এম আবু তাহের মিয়া, এস এম নুরুল আলম মাস্টার, এস এম জহির উদ্দিন, এস এম নজরুল ইসলাম, এস এম আবদুল মোতালেব, এস এম ইউনুস মিয়া, এস এম ছাদেক বাবুল, এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, এস এম ইয়াহিয়া করিম, এস এম শওকত আজিজ, এস এম ফারুক, এস এম নিজাম, এস এম দিদাুল, এস এম আসহাব, এস এম সেলিম, এস এম জসিম, এস এম মনছুর, এস এম বেলাল, এস এম কফিল, এস এম হামেদ, এস এম হাবিব প্রমুখ।
ওরশ উদযাপন কমিটির যুগ্ম মোতাওয়াল্লী এস এম ফজলুল করিম বলেন, “ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ওরশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। কমিটির সদস্যরা প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।”
অন্য যুগ্ম মোতাওয়াল্লী এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও আমরা আগত ভক্তদের জন্য সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। যারা দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন, তাদের যেন কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয়, সে লক্ষ্যেই আমরা প্রস্তুত।”
এদিকে ওরশে আগত ভক্তদের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের দিন কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো—ভক্তরা যেন নিরাপদে, শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা জনভোগান্তি যেন না ঘটে, সে লক্ষ্যে পুলিশ সদা প্রস্তুত।”
এছাড়া দরগাহ পুনর্নির্মাণে সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমের ব্যক্তিগত অর্থায়নের জন্য মাজার কমিটির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
সাব্বির