
ছবিঃ সংগৃহীত
আপনার নিজের নামে কেনা সিম কার্ডটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে? এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন যেকোনো সময়! কারণ, বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) সিম বন্ধ সংক্রান্ত একটি নতুন নিয়ম ইতিমধ্যে কার্যকর করেছে, যার ফলে নির্দিষ্ট সময় সিম ব্যবহার না করলে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সেটি রিসাইকেল করে বিক্রি করতে পারে অন্য কারও কাছে।
📵 পুরানো নিয়ম বনাম নতুন নিয়ম:
আগে যেখানে সিম কার্ড ১৫ মাস (প্রায় ৪৫০ দিন) বন্ধ থাকলে রিসাইকেল হতো, এখন সেই সময়সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী—
🔸 রবি ও এয়ারটেল: ব্যালেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যদি ১২ মাস সিমটি বন্ধ থাকে, তবে সেটি রিসাইকেল করে বিক্রি করা হবে।
🔸 গ্রামীণফোন ও স্কিটো: ব্যালেন্সের মেয়াদ শেষে যদি ১১ মাস সিমটি বন্ধ থাকে, তবে রিসাইকেল হবে।
🔸 বাংলালিংক: ব্যালেন্স শেষ হওয়ার পর ১৩ মাস নিষ্ক্রিয় থাকলে সিম রিসাইকেল হয়ে যাবে।
🔸 টেলিটক: টেলিটক এখনো তুলনামূলক নমনীয়; ১৪-১৫ মাস পর সিমটি রিসাইকেল করা হয়, তবে এই নিয়মও বর্তমানে কার্যকর।
🛑 রিসাইকেল হলে কী হবে?
যদি আপনার সিম কার্ড রিসাইকেল হয়ে যায়, তাহলে—
✔️ আপনি আর ওই নম্বরে OTP (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) পাবেন না (ফেসবুক, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ, Gmail ইত্যাদিতে)
✔️ বিকাশ, নগদ বা রকেট অ্যাকাউন্ট যদি ওই নম্বরের সাথে যুক্ত থাকে, সেগুলো অ্যাক্সেস করা সম্ভব হবে না
✔️ গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় ও নিরাপত্তা হারানোর ঝুঁকি থাকবে
📌 কারণ কী?
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, নিজের নামে নিবন্ধিত সিম কোম্পানি কিভাবে বিক্রি করে দিতে পারে? এর উত্তর হলো—এটা একটি সরকারি আইন। সিম দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকলে, অপারেটর সেই নম্বরটি পুনরায় ব্যবহার করতে পারবে বলে বিটিআরসি’র নীতিমালায় বলা আছে।
🛡️ কী করবেন নিরাপদ থাকতে?
✅ ব্যবহার না করলেও মাঝে মাঝে সিম চালু করে রাখুন
✅ ব্যালেন্স চেক করুন এবং মেয়াদ বাড়ান
✅ প্রয়োজন হলে কল বা এসএমএস করে অ্যাকটিভ রাখুন
আজই খোঁজ নিন আপনার সিম চালু আছে কি না! কারণ, সচেতনতা আপনাকে বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
ইমরান