
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মোবাইল ফোন সেবা চালু করল ট্রাম্প পরিবারের মালিকানাধীন নতুন ব্র্যান্ড—ট্রাম্প মোবাইল (Trump Mobile)। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র ও এরিক ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানায়, এটি মোবাইল ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটর (MVNO) হিসেবে কাজ করবে এবং AT&T, Verizon এবং T-Mobile–এর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে পরিষেবা দেবে।
‘The 47 Plan’—ট্রাম্প মোবাইলের ব্যতিক্রমী অফার
ট্রাম্প মোবাইলের মূল প্যাকেজটির নাম ‘The 47 Plan’, যার মাসিক মূল্য ৪৭.৪৫ ডলার। এই দামের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক বার্তা—ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম এবং বর্তমানে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট।
এই প্ল্যানে থাকছে—
- আনলিমিটেড কল, টেক্সট ও ডেটা
- ২৪/৭ রোডসাইড অ্যাসিস্ট্যান্স (Drive America-এর মাধ্যমে)
- টেলিহেলথ পরিষেবা (ভার্চুয়াল চিকিৎসা, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও প্রেসক্রিপশনের হোম ডেলিভারি)
- ১০০টির বেশি দেশে বিনামূল্যে আন্তর্জাতিক কলিং
- চুক্তিবিহীন (no contract) ও ক্রেডিট চেক ছাড়া সংযোগ সুবিধা
- ‘Complete Device Protection’ সুবিধা (যার বিস্তারিত এখনও অস্পষ্ট)
বাজারে আসছে সোনালি রঙের ট্রাম্প ফোন: ‘টি১ ফোন’
ট্রাম্প মোবাইলের সঙ্গে একইসাথে বাজারে আসছে একটি এক্সক্লুসিভ স্মার্টফোন Trump T1 Phone, যার দাম ধরা হয়েছে ৪৯৯ ডলার।
এই ফোনটি আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে বাজারে আসতে পারে বলে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে। ফোনটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হল:
- ৬.৭৮ ইঞ্চি AMOLED ডিসপ্লে (১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট)
- ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা
- ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা
- ৫,০০০ mAh ব্যাটারি (২০W ফাস্ট চার্জিং)
- ১২ জিবি RAM, ২৫৬ জিবি স্টোরেজ (এক্সপ্যান্ডেবল)
- অ্যান্ড্রয়েড (অপারেটিং সিস্টেম) ১৫
- ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
তবে ফোনটির চিপসেট বা প্রসেসরের বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করেনি ট্রাম্প মোবাইল।
এখনই প্রি-অর্ডার ও সংযোগ পরিবর্তনের সুযোগ
ইচ্ছুক ব্যবহারকারীরা এখনই ট্রাম্প মোবাইলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফোনটি প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। একইসঙ্গে, নিজের পুরনো ফোন ব্যবহার করেও এই নেটওয়ার্কে স্যুইচ করার সুযোগ থাকছে। প্রতিষ্ঠানটি ২৪ ঘণ্টা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কাস্টমার সার্ভিস দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে এই উদ্যোগ মার্কিন বাজারে রাজনৈতিক ব্র্যান্ডিংয়ের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ‘ট্রাম্প মোবাইল’ আসলে কতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে।
সূত্র: https://www.gsmarena.com/
রাকিব