ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

কিডনি ভালো রাখতে মেনে চলুন এই ৭টি অভ্যাস

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ১৭ জুন ২০২৫

কিডনি ভালো রাখতে মেনে চলুন এই ৭টি অভ্যাস

ছবি: সংগৃহীত।

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে, অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য পদার্থ দূর করে এবং শরীরের রাসায়নিক ভারসাম্য বজায় রাখে। কিন্তু অনিয়মিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত ওষুধ সেবন, খাদ্যাভ্যাসের অবহেলা এবং পানিশূন্যতা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে। কিডনি বিকল হওয়া বা ‘কিডনি ফেইলিউর’ আজকাল একটি ভয়াবহ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠেছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, কিডনি ভালো রাখতে চাইলে কিছু নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। নিচে তুলে ধরা হলো কিডনি সুস্থ রাখার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়—

১. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
পানিশূন্যতা কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস করে এবং কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়ায়। দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করলে কিডনি সহজে টক্সিন ও বর্জ্য ফিল্টার করতে পারে।

২. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
এই দুই রোগ কিডনি বিকলের অন্যতম প্রধান কারণ। রক্তচাপ এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণে রাখা কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য।

৩. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বন্ধ করুন।
বেশি লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে, যা কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে।

৪. নিজে থেকে ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বিশেষ করে ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক অতিরিক্ত বা দীর্ঘদিন খেলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৫. সুষম ও কিডনি-বান্ধব খাদ্য গ্রহণ করুন।
ফলমূল, শাকসবজি, পূর্ণ শস্য, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার এবং কম চর্বিযুক্ত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার কিডনির জন্য উপকারী। প্রসেসড ফুড, ফাস্টফুড ও উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

৬. ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন।
এই দুই অভ্যাস কিডনির রক্তপ্রবাহ ব্যাহত করে এবং দীর্ঘমেয়াদে কিডনি অকেজো হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

৭. বছরে অন্তত একবার কিডনি ফাংশনের পরীক্ষা করান।
বিশেষ করে যাদের পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস রয়েছে অথবা যাদের বয়স ৪০-এর বেশি, তাদের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি। রক্তে ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিন অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে কিডনির অবস্থা জানা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনি রোগের প্রাথমিক অবস্থায় তেমন উপসর্গ দেখা না যাওয়ায় নিয়মিত চেকআপ ও সচেতন জীবনযাপনই হতে পারে কিডনি সুরক্ষার মূল হাতিয়ার।

মিরাজ খান

×