
ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ক্যান্সার এখন বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করে অনেকাংশে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার রয়েছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই ৫টি খাবার সম্পর্কে, যেগুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
১. ব্রকলি
ক্রুসিফেরাস জাতীয় সবজি, বিশেষ করে ব্রকলি, ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। এতে থাকে সালফোরাফেন নামের একটি যৌগ, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে দমন করতে পারে। ২০১২ সালের একটি মেটা-অ্যানালাইসিসে দেখা গিয়েছে যে, ব্রকলির মতো সবজি খাওয়া কোলন ও কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২. বেরি
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও রাস্পবেরির মতো বেরিগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। ২০০৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিলবেরি এক্সট্র্যাক্ট কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রায় ৭% কমিয়ে দেয়। নিয়মিত বেরি খেলে মুখ, খাদ্যনালী ও বৃহদান্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য হতে পারে।
৩. গাজর
গাজর শুধু চোখের জন্যই ভালো নয়, এটি ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। গাজরের উজ্জ্বল কমলা রঙের পেছনে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ২০২৪ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গাজর খেলে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রতিরক্ষা বাড়ে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৮% পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
৪. সম্পূর্ণ শস্য (Whole Grains)
কুইনোয়া, ব্রাউন রাইস, ওটস ইত্যাদি সম্পূর্ণ শস্যে ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সঠিক রাখতে সাহায্য করে ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পরিশোধিত শস্যের পরিবর্তে এই ধরণের সম্পূর্ণ শস্য বেছে নেওয়াই ভালো।
৫. অলিভ অয়েল
মেডিটেরেনিয়ান ডায়েটের একটি অপরিহার্য উপাদান হলো অলিভ অয়েল, বিশেষ করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এতে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। ২০১১ সালের একটি রিভিউতে বলা হয়েছে, যারা বেশি পরিমাণে অলিভ অয়েল খান, তাদের স্তন ক্যান্সার এবং পরিপাকতন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।
দ্রষ্টব্য: এই তথ্যগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত এবং শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের উদ্দেশ্যে শেয়ার করা হয়েছে। এটি কোনও চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। স্বাস্থ্যসংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মারিয়া