বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাজধানীর কালশিতে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর পল্লবীতে কালশি গণহত্যায় বিচারহীনতার প্রতিবাদে এবং সাবেক ফ্যাসিস্ট এমপি ইলিয়াস মোল্লা ও যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে প্রথমবারের মতো যোগ দেন কালশি ট্র্যাজেডিতে পরিবারের সদস্যদের হারানো কিশোরী ফারজানা, যিনি সেই বিভীষিকাময় আগুনে নিজেও ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলেন। তার উপস্থিতি সমাবেশে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে।
আমিনুল হক বলেন, “ইতিহাসের নৃশংসতম এই গণহত্যার বিচার আমরা করবই। যারা দেশের বাইরে পালিয়ে আছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা হবে। ফারজানার পড়াশোনাসহ সব দায়িত্ব বিএনপি গ্রহণ করবে।”
তিনি আরও বলেন, বিহারী নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছিল। ভূমি দস্যুরা এখনও মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে। এসব মামলাও প্রত্যাহার করা হবে।
বিহারী নেতা সাদাকাত খান ফাক্কু বলেন, “২০১৪ সালের ১৪ জুন আমাদের ক্যাম্পের একটি বাড়িতে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুনে ফারজানার পরিবার পুড়ে মারা যায়, পরে ফারজানার বাবাকেও হত্যা করা হয়। আগুনে পুড়তে থাকা মানুষদের বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা যান যুবক আজাদ। আজও সেই নৃশংস ঘটনার বিচার হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, "এই গণহত্যার সঙ্গে তৎকালীন সরকার ও ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী সরাসরি জড়িত। সাবেক এমপি ইলিয়াস মোল্লা ও যুবলীগ নেতা জুয়েল রানা এই ঘটনার মূলহোতা।"
উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মন্টু, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্র মিজান,
পল্লবী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোকছেদুর রহমান আবির, আনিছুর রহমান,উর্দুভাষীদের সংগঠন ইউএসপিওয়াইআরএম-এর সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু, পল্লবী থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ হাসান সোহেলসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে বক্তারা কালশি গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেন এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানান।
মিমিয়া
