ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

বিএনপির সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

নির্বাচনের দিনক্ষণ জানতে ধৈর্য ধরতে বললেন আমীর খসরু

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:৩৩, ১৮ জুন ২০২৫

নির্বাচনের দিনক্ষণ জানতে ধৈর্য ধরতে বললেন আমীর খসরু

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেস বৈঠক করেন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণে সবাইকে ‘ধৈর্য ধরার’ পরামর্শ দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ পরামর্শ দেন।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হয়। এতে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
রোজার ঈদের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিএনপি এবং অন্তর্বর্তী সরকার একমত হলেও নির্বাচন কোন মাসের কোন তারিখে হবে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য কোনো পক্ষ থেকেই শোনা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান কী? এ প্রশ্নে আমীর খসরু বলেন, লন্ডনে তারেক রহমান এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যকার বৈঠক জাতির মধ্যে একটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।

আমরা সবাই মিলে একমত হয়েছি আগামী রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। সরকারও হয়তো সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সময় মতো নির্বাচন কমিশনও হয়ত দিনক্ষণ ঘোষণা করবে।’ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের সব পক্ষকেই একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা মনে হয় একটু বেশিই অস্থির হয়ে গেছি। এই অস্থিরতা দূর করে একটা আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে।

নির্বাচনের দিনক্ষণ তো সরকার ঠিক করবে না, আমরাও ঠিক করব না। এটা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন। সরকার কেবল নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেবে। সেটা হয়ত খুব শীঘ্রই দিয়ে দেবে। সে পর্যন্ত আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। ইশরাক হোসেনের শপথের বিষয়ে তিনি বলেন, দেখি সরকার বিষয়টা নিয়ে কি সিদ্ধান্ত দেয়। সরকার তো আইনের শাসনে বিশ্বাস করে বলে আমরা জানি।

আমরা দেখি তারা কি করে। এ ব্যাপারেও একটু ধৈর্য ধারণ করা দরকার। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ব্রাজিলের মনোভাব কি? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অন্য কোনো দেশ সাধারণত মন্তব্য বা মতামত দেয় না। তবে, সব দেশই চায় নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে। এতে করে কাজ করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।

×