
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান বোমাবর্ষণে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে যুক্ত হবে কি না—এই প্রশ্ন এখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের দ্বিধায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা, যা তার মধ্যপ্রাচ্যনীতি ও প্রেসিডেনসির ভবিষ্যৎ প্রভাবকে গভীরভাবে নির্ধারণ করতে পারে।
কানাডায় অনুষ্ঠিত G7 সম্মেলন থেকে হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে ট্রাম্প মঙ্গলবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে “মেরে ফেলতে পারে”, তবে “এই মুহূর্তে তা করা হবে না”।
এই মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জল্পনা বেড়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো শিগগিরই ইসরায়েলের সঙ্গে একযোগে ইরানে সামরিক অভিযান চালাতে পারে।
তবে বিষয়টি ট্রাম্পের জন্য একটি সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও বটে। কারণ, তিনি তার প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদজুড়ে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের “চিরস্থায়ী যুদ্ধ” থেকে বের করে আনবেন।
ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্র্যাসিজ (FDD)-এর ইরান বিষয়ক পরিচালক বেহনাম বেন তালেবলু AFP-কে বলেন, “এটি এমন একটি বড় রাজনৈতিক ও সামরিক সিদ্ধান্ত যা মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ভূমিকা এবং উত্তরাধিকারকে স্থায়ীভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির ভবিষ্যৎই নির্ধারণ করবে না, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থির ও সংঘাতময় করে তুলতে পারে।
শেখ ফরিদ