ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্প-আসিম মুনির বৈঠক আজ, জানা গেল আলোচনার বিষয়বস্তু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৫, ১৮ জুন ২০২৫; আপডেট: ১০:১৯, ১৮ জুন ২০২৫

ট্রাম্প-আসিম মুনির বৈঠক আজ, জানা গেল আলোচনার বিষয়বস্তু

ছবিঃ সংগৃহীত

পাকিস্তান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বুধবার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। পাঁচদিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের অংশ হিসেবে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য হলো কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা। সফরে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ-এর সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

এই মধ্যাহ্নভোজটি হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট রুমে অনুষ্ঠিত হবে এবং এতে গণমাধ্যম প্রবেশের অনুমতি নেই। প্রেসিডেন্টের দৈনিক সূচি অনুযায়ী, বৈঠকটি দুপুর ১টায় (ওয়াশিংটন সময়) শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

সফরের শুরুতেই জোর গুঞ্জন ছিল যে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্যারেডে অংশ নেবেন। তবে হোয়াইট হাউস তা সরাসরি অস্বীকার করে জানায়, “এটি মিথ্যা। কোনো বিদেশি সামরিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।”

প্রবাসী পাকিস্তানিদের বিক্ষোভে ‘জল্লাদ’ খেতাব

আসিম মুনিরের সফরের চেহারায় ছায়া ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইমরান খান-সমর্থকদের এক প্রতিবাদ কর্মসূচি। ওয়াশিংটনের ফোর সিজনস হোটেলের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন এবং আসিম মুনিরকে ‘পাকিস্তানিদের জল্লাদ’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেন। হোটেলটি কয়েক ঘণ্টার জন্য বিক্ষোভস্থলে পরিণত হয়, যা বিশ্লেষকদের মতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য “গুরুতর বিব্রতকর মুহূর্ত” এবং তার “ক্ষীয়মান গ্রহণযোগ্যতার প্রতিফলন”।

একজন বিক্ষোভকারী হোটেল থেকে বের হওয়া কর্মকর্তাদের উদ্দেশে চিৎকার করে বলেন, “গিদড়, গিদড়, গিদড়”—যা একটি অপমানসূচক শব্দ, কাপুরুষতা ও প্রতারণাকে নির্দেশ করে।

আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা আলোচনা বিষয়:

এই বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচ্যসূচি নিশ্চিত করেননি।

ভারত-পাক শান্তিচুক্তিতে ট্রাম্পের দাবির বিরোধিতা:

আসিম মুনিরের কৌশলগত সফরটি আসে মে মাসে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার প্রশাসনের বাণিজ্য নীতির ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ নেই এবং ভারত এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের ‘চরম ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি’ই পাহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার মূল কারণ।” ওই হামলায় লস্কর-ই-তাইয়্যেবা সন্ত্রাসীরা ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে ২৬ জনকে হত্যা করেছিল। জয়শঙ্কর আরও বলেন, “এই আক্রমণ বুঝতে হলে দেখতে হবে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান কেমন এক উগ্র ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাস করেন। সেটিই এ ধরনের হামলার পথ তৈরি করেছে।”
 

মুমু

×