
ইসলামিক রেভলিউশন গার্ডস করপস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে নিয়ে প্রভাবশালী ও লক্ষ্যভেদী হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের শাস্তিমূলক অভিযানের দশম ধাপে আকাশে থাকা বিমান ঘাঁটিগুলোকে বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছিল, কারণ সেগুলো ব্যবহার হচ্ছিল ইরানের ওপর হামলা চালানোর জন্য।
আইআরজিসি জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযান চালানো হবে অবিরাম এবং একাধিক স্তরে ধাপে ধাপে।
এদিকে, বুধবার সকালে ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায় এমন ভিডিও ফুটেজ সামনে এসেছে, যেখানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। দুই রাতের পরপরই দেখা গেছে, ইসরায়েলের ‘আইরন ডোম’ রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তত একবার মাঝ আকাশে ব্যর্থ হয়ে তেল আবিবে গিয়ে পড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টি করেছে।
জুন ১৩ রাতের হামলায় ইসরায়েল বিনা কোনো প্ররোচনায় ইরানের ভূখণ্ডসহ বাসস্থানগুলোতে বিমান হামলা চালায়। এতে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হন। সাধারণ মানুষও বাসায় থাকা অবস্থায় হামলার শিকার হয়। একাধিক জনবসতিও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সেই একই দিনে ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি নতুন সামরিক প্রধানদের নিয়োগ দিয়ে জানান, ইসরায়েলের জন্য সময় এখন অন্ধকারময়। পরবর্তীতে ইরানি বাহিনী ঘোষণা করে, তারা ‘নরকের দরজা’ খুলে দিয়ে ইসরায়েলকে কঠোর জবাব দেবে। এরপর থেকে ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায় শুরু হয় বলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, যা তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফাসহ নানা জায়গায় আঘাত হানে।
ইসরায়েল অধিকৃত এলাকা এখন কঠিন সময়ের মুখোমুখি। সাধারণ মানুষ দিনের বেলা ভূগর্ভস্থ বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ছাড়া আর উপায় পাচ্ছে না।
ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই অভিযান প্রয়োজন মতো যতক্ষণ প্রয়োজন চলবে।
সেই সময় থেকে ইরানি হামলার ধারা থেমে নেই। যদিও ইসরায়েল সেন্সর এবং তথ্য সীমাবদ্ধ করছে, তবু অনেক ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের নিখুঁত আঘাত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চিত্র স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
সূত্র:https://tinyurl.com/597h5xpb
আফরোজা