
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা শহরে অনেকেই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবেন। অনেকে মনে করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর মূল্য দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং ভাড়া থেকেও আয় হবে। কিন্তু বাস্তবতা অনেক সময় ভিন্ন হতে পারে।
লাইফস্পিংয়ের লিড সাইকোলজিস্ট ইয়াহিয়া আমিন এ বিষয়ে বলেন, “ধরুন, আপনি এক কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট কিনলেন। ২৫ লাখ টাকা দিলেন নিজের পকেট থেকে, বাকি ৭৫ লাখ টাকা নিলেন ব্যাংক ঋণে। সেই ঋণের কিস্তি হিসেবে আপনাকে প্রতি মাসে গুণতে হচ্ছে ৪০ হাজার টাকা। অথচ আপনি ভাড়া পাচ্ছেন মাত্র ২৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি মাসে আপনাকে অতিরিক্ত ১৫-১৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে—এটিই হচ্ছে আপনার লায়াবিলিটি।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকে মনে করেন, ১০ বছর পর ফ্ল্যাটের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র হলো, একটি সময় পর গিয়ে ফ্ল্যাটের দাম বাড়ার হার কমে যায়, এমনকি অনেক সময় কমেও যেতে পারে। তবে জমির ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। জমির দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল এবং বাড়ার সম্ভাবনাও বেশি।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আবেগ নয়, বরং বিশ্লেষণ ও হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতে সম্পদ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। না হলে ফ্ল্যাটের নামে আপনি হয়তো ভবিষ্যতের জন্য একটি লায়াবিলিটিই কিনে বসে আছেন।
সূত্র: https://www.youtube.com/shorts/PU9AaGKgmB8
আবির