
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অভিজ্ঞ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ বেলায়েত হোসেন সম্প্রতি এক আলোচনায় জানিয়েছেন, জমির মালিকানা নিশ্চিত করতে শুধু দলিল নয়, দুটি নির্ভরযোগ্য প্রমাণ থাকলেই যথেষ্ট। এই প্রমাণগুলো আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে জমির মালিকানা চিরস্থায়ীভাবে নিশ্চিত করতে সহায়তা করে এবং ভবিষ্যতেও উত্তরাধিকারীরা জমির মালিকানা সুনির্দিষ্টভাবে ধরে রাখতে পারেন।
প্রথম প্রমাণ: বিক্রয় কাওলা দলিল
যদি কোনো ব্যক্তি রক্তসম্পর্কের বাইরে কারও কাছ থেকে জমি কিনে থাকেন, তাহলে শুধুমাত্র একটি হেবা বা দানপত্র দলিল যথেষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই বিক্রয় কাওলা বা সাফ-কওলা দলিল থাকতে হবে। কারণ হেবা দলিল শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ১৪টি রক্তসম্পর্কের ক্ষেত্রেই কার্যকর। এই সীমার বাইরে হেবা দলিলের ওপর ভিত্তি করে মালিকানা দাবি করলে ভবিষ্যতে আইনগত জটিলতায় পড়তে হতে পারে।
দ্বিতীয় প্রমাণ: ওয়ারিশ সনদ
যদি জমি উত্তরাধিকারসূত্রে অর্জন করা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে বৈধ ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করতে হবে। এই সনদে সকল প্রকৃত ওয়ারিশদের নাম থাকতে হবে। ভুল বা ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে বাদ দিয়ে সনদ তৈরি করা হলে ভবিষ্যতে সম্পত্তির ওপর তাদের দাবি উঠতে পারে এবং আদালতের মাধ্যমে জমি পুনর্দখলের ঘটনাও ঘটতে পারে।
অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক
মালিকানা নিশ্চিত করার পর অবশ্যই নামজারি করে নিতে হবে এবং প্রতি বছর নিয়মিত খাজনা প্রদান করে দাখিলা বা রসিদ জমা রাখতে হবে। খতিয়ান, জমার রেকর্ড, ক্রয়ের ধারাবাহিকতা ও খাজনার কাগজগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।
দুর্নীতিমুক্ত ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থার দিকে অগ্রগতি
অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন আরও বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভূমি ব্যবস্থায় দুর্নীতি দমনে জোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভূমি অফিসে ঘুষ ও দালালচক্রের প্রভাব কমাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা প্রদান শুরু হয়েছে। ভূমি উপদেষ্টার নেতৃত্বে ভূমি খাতকে আধুনিক ও দুর্নীতিমুক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
আবির