
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ৩ নারীসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলেন, রামপুরার সুমি আক্তার (৩৫), কদমতলীর রুহেনা আক্তার (২১), সবুজবাগের তানিয়া (২২) ও মহাখালীর মুন্না (১৯)।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ ৪টি ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর পরিবারের কাছে লাশগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
পিরোজপুর সদর উপজেলার মনেজ হাওলাদারের মেয়ে সুমি আক্তার। গৃহিণী সুমি স্বামী শহিদুল ইসলামের সাথে রামপুরা পূর্ব হাজীপাড়া ঝিলপাড়ে একটি বাসায় থাকতেন।
রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খান আব্দুর রহমান মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমি।
অন্যদিকে, বরগুনার আমতলী উপজেলার তাজউল্লাহর মেয়ে রুহেনা আক্তার। স্বামী হামিদুল ইসলাম। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার পাগলা এলাকায়। কদমতলী এলাকার ইগুলু কোম্পানিতে চাকরি করতেন রুহেনা। সুরতহাল প্রতিবেদনে কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোছাম্মৎ নুসরাত জাহান উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা ম্যাস শ্রমিক কলোনির ২২ নম্বর রোডে সিয়াম রোলিং ফ্যাক্টরির সামনে রাস্তায় ট্রাক এবং অটোরিকশা সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রুহেনা। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা উল্লেখ করেন, তানিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম আজমল হক। থাকতেন সবুজবাগ মাদারটেক বাগানবাড়ি এলাকার একটি বাসায়। মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে মুগদা হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। তবে গলায় কোনো দাগ নেই। এছাড়া তার বাম হাতের কব্জিতে দুই ইঞ্চি পরিমাণ কাটা জখম রয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মওদুদ কামাল সুরতহালে উল্লেখ করেন, মুন্নার বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলায়। তার বাবার নাম ইয়াসিন। মহাখালী আদর্শনগর এলাকায় থাকে গাড়ির হেলপার মুন্না। মঙ্গলবার সেই বাসায় ফাঁস দেয় সে। পরবর্তীতে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সানজানা