ছবি: জনকণ্ঠ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগীর প্রয়োজনীয় ইনজেকশান না থাকায় সাপের কামড়ে আহত ইরফান হোসেন (১৩) নামক এক মাদ্রসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ইরফান উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের মাইরাগাঁও গ্রামের মুন্সী বাড়ির শাহ আলমের ছেলে।
সে ফেনী রশিদিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন। বুধবার দুপুরে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের মাতম বইছে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে ইরফান (১৩) বাড়ীর পাশের জামাল মিয়ার মৎস্য খামারে নামলে বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে সে মারা যায়।
ইরফানের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ফেলে ইরফানকে বাঁচনো সম্ভব হতো। কিন্তু সাপে কাটা রোগীর প্রয়োজনীয় ইনজেকশান না থাকায় হাসপাতালের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
কিন্তু কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় ইরফানকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সীতে কর্তৃব্যরত মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সালাউদ্দিন বলেন, ইরফানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর অ্যান্টিভেনম দেওয়ার জন্য তৈরী করা হয়। কিন্তু অ্যান্টিভেনম দেওয়ার আগে অ্যাড্রেনালিন ও নিউসিগমাই ইনজেকশান দিতে হয়। কিন্তু ইনজেকশান দু‘টি থাকায় তাকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ জানান, এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নেওয়া ছাড়া কোন মন্তব্য করতে পারবো না।
ছামিয়া
