
মৃত্যুর হুমকি মাথায় নিয়েই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একের পর এক হুমকির পর এবার প্রথমবারের মতো মুখ খুলে যুদ্ধের প্রতিজ্ঞা জানালেন তিনি। সিরিজ এক্স বার্তায় ঘোষণা করলেন, "ইহুদিবাদী শাসকদের সঙ্গে আপোষ নয়, বরং সম্মুখ যুদ্ধই একমাত্র পথ।"
ইসরায়েল যখন মধ্যপ্রাচ্যে ‘অপারেশন রাইজিং লাইন’ এর মাধ্যমে একে একে ইরানের মিত্রদের ছিন্নভিন্ন করছে, তখনো মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন খামেনি। তবে এবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, ‘মুহূর্তে মৃত্যু হলেও ইসরায়েলকে ছাড় দেয়া হবে না।’
সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “খামেনির মৃত্যু হলেই সংঘাত শেষ হবে।” এর একদিন পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী কালস বলেন, খামেনির পরিণতি হতে পারে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইনের মতোই।
এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানিয়েছেন, খামেনির অবস্থান সম্পর্কে তারা অবগত। এখনই না হলেও, প্রয়োজনে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে আয়াতুল্লাহ খামেনি সিরিজ এক্স পোস্টে একাধিক বার্তা দিয়ে জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক রিপাবলিক।
এক পোস্টে তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চাচাতো ভাই ও ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা.)-কে স্মরণ করে লেখেন—
"সম্মানিত হায়দারের নামে যুদ্ধ শুরু হলো। যুফিকার হাতে নিয়ে খাইবারে ফিরছেন আলী।"
এই ঐতিহাসিক রেফারেন্সে বোঝাতে চেয়েছেন, ইসলামের ইতিহাসের সেই বিজয়ের মতো এবারও ইসরায়েল নামক ‘খাইবার’ দখলমুক্ত করা হবে।
আরেক পোস্টে তিনি কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, “আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা যুদ্ধ করব ইহুদিবাদী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে।”
এমন ঘোষণার পর গোটা মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। খামেনির এই বার্তা শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং একটি রাষ্ট্রীয় কৌশলের প্রতিচ্ছবি বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মিমিয়া