
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান তার দেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার তুর্কি পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের মোকাবিলায় তুরস্ককে প্রস্তুত থাকতে হবে।"
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তুরস্কের উপর যদি কোনো হামলা হয়, তাহলে পাল্টা জবাব দিতে এক মুহূর্তও দেরি করা হবে না। এ সময় তিনি ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন এবং ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, "তেলআবিবের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ইরানের অধিকার।"
এরদোয়ান আরও বলেন, “আমরা শান্তির পক্ষে। কিন্তু কেউ যদি তুরস্কের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে, তাহলে আমরা শক্তিশালী জবাব দিতে বাধ্য হবো। আমাদের এমন সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে, যেন কেউ তুরস্কের বিরুদ্ধে হামলার কথা কল্পনাও না করতে পারে।”
তিনি দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পে আরও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি উন্নয়ন ও সামরিক প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এরদোয়ানের এই বক্তব্য শুধু অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার ঘোষণা নয়, বরং এটি একটি স্পষ্ট কূটনৈতিক বার্তা, বিশেষ করে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তুরস্ক নিজেকে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যেভাবে সামরিক উত্তেজনা বাড়ছে, তাতে তুরস্কের এই অবস্থান শুধু প্রতিরক্ষার কৌশল নয়, বরং ভবিষ্যতের বড় রাজনৈতিক ও কৌশলগত ভূমিকার ইঙ্গিত বহন করছে। শান্তির বার্তা দিলেও, তুরস্ক এখন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে তারা পূর্ণ শক্তিতে প্রস্তুত।
ছামিয়া