ছবি: সংগৃহীত।
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে যুক্ত হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বিকেলের মধ্যে ‘সিচুয়েশন রুমে’ শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসবেন এবং সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।
ওভাল অফিসে সিএনএনের কাইটলান কলিন্সকে ট্রাম্প বলেন, “আমার কিছু ধারণা আছে কী করা উচিত, তবে আমি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি সবসময় সময়ের এক সেকেন্ড আগে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি, কারণ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সবকিছু মুহূর্তেই বদলে যেতে পারে। যুদ্ধ মানেই চরম থেকে চরমে যাওয়ার বিষয়।”
ট্রাম্প আরও জানান, ইসরায়েল যখন গত সপ্তাহে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে, তখন থেকেই তিনি বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
তিনি বলেন, “প্রথম রাতটাই ছিল ধ্বংসাত্মক। ইসরায়েল যেভাবে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে, তা একপাক্ষিকভাবে ইরানকে অচল করে দিয়েছে। সেই ধ্বংসাত্মক রাতের পর থেকেই পরিস্থিতি অনেকটা একইভাবে এগিয়েছে।”
তিনি জানান, শিগগিরই ‘ওয়ার রুম’ বা ‘সিচুয়েশন রুম’-এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন এবং সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইরান সরকারের পতন ঘটলে কী হবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমার সব কিছুর জন্যই পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সময়ই বলে দেবে কী ঘটবে। এখনো অনেক পথ বাকি।” তিনি আবারো উল্লেখ করেন যে, ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে আসা উচিত ছিল।
ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী এবং হোয়াইট হাউসে আসতে চায়—যদিও ইরানি কর্মকর্তারা এই দাবিকে বারবার প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তবে তিনি এও বলেন, “তাদের সঙ্গে আলোচনার দরজা আমি এখনো বন্ধ করিনি।”
সূত্র: সিএনএন।
মিরাজ খান
