ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপে ভারতের ভূমিকা: গোয়েন্দা প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ১৯ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৪:৫৭, ১৯ জুন ২০২৫

কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপে ভারতের ভূমিকা: গোয়েন্দা প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর দাবি

ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতকে ‘বিদেশি হস্তক্ষেপকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা। বুধবার (১৮ জুন) প্রকাশিত কানাডার সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CSIS)-এর এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়।

এমন সময় এই প্রতিবেদন প্রকাশ পেল যখন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে একে অপরের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করে সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন।

জি৭ সম্মেলনে আলোচনার সময় দুই নেতা আগের বছর প্রত্যাহার করা উর্ধ্বতন কূটনীতিকদের পুনরায় দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জি-৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোয় কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের একটি অংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

২০২৩ সালে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডে ভারতের সরকারি সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেন। নিজ্জার ছিলেন খালিস্তানপন্থী এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। এই হত্যাকাণ্ড কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় ঘটেছিল, ঠিক এক বছর আগে ১৮ জুন।

ভারত সরকার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পাল্টা অভিযোগ করেছে, কানাডা শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করছে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডায় ভারতের কর্মকাণ্ডে ‘ট্রান্সন্যাশনাল রেপ্রেশন’ বা সীমান্ত পার হয়ে দমননীতির স্পষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তবে প্রতিবেদনে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, কানাডার জন্য সবচেয়ে বড় পাল্টা গোয়েন্দা হুমকি এখনো চীন; পাশাপাশি রাশিয়া, ইরান এবং পাকিস্তানকেও হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, “ভারতীয় কর্মকর্তারা, এমনকি কানাডায় অবস্থানরত তাদের প্রোক্সি এজেন্টরাও, কানাডার জনগণ ও রাজনীতিকদের প্রভাবিত করতে নানা রকম তৎপরতায় যুক্ত। এসব তৎপরতার লক্ষ্য হলো কানাডার রাজনৈতিক অবস্থানগুলোকে ভারতের স্বার্থের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া, বিশেষ করে খালিস্তানপন্থীদের বিষয়ে।”

২০২৩ সালের অক্টোবরে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (RCMP) জানায়, তারা খালিস্তানপন্থী শিখদের বিরুদ্ধে অন্তত এক ডজন হুমকি সম্পর্কে অবগত করেছে।

এই প্রসঙ্গে ভারতীয় হাই কমিশন এবং কানাডায় চীনা দূতাবাস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, কানাডা ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের উত্তেজনার পেছনে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দ্বন্দ্ব কাজ করছে, যা ভবিষ্যতে এই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

সুত্রঃ রয়টার্স

আলীম

আরো পড়ুন  

×