
ছবিঃ জনকণ্ঠ
বৃষ্টি হলেও চলাচলে অনুপযোগী, জনসাধারণের ভোগান্তি চরমে। মাত্র ৩০০ মিটার রাস্তায় চলাচল করে প্রায় কয়েকশত মানুষ। সামন্য বৃষ্টি হলেই চলাচল করা কঠিন হয়ে যায়। কাঁদা রাস্তায় ছেলে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে যায়৷ স্কুল ব্যাগ কাঁধে, এক হাতে ছাতা, আরেক হাতে সেন্ডেল নিয়ে নিদারুণ কষ্টে যায় জ্ঞান অর্জনের জন্য৷ সরকারি সড়কের সাথে সংযুক্ত করে স্থানীয় এলাকাবাসী আরো ৩ শত মিটার রাস্তা তৈরি করছে।
এটি পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের ৬ নং এবং গয়েশপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী এলাকার রাজাপুর গ্রামের শেষ এবং কাঁকর কাটা (আংশিক) ও দক্ষিণ মাছিমপুর (আংশিক) এলাকার মানুষের যাতায়াতের রাস্তা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, অত্র এলাকার রিকশা চালক, এস এম উদ্দিন (৪৫) বলেন, অল্প একটু রাস্তার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। বৃষ্টি হলেই গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা যায় না। রাস্তাটি পাকা হলে আমাদের অনেক উপকার হয়।
ভ্যান চালক তারা মিয়া (৫০) বলেন, বৃষ্টি হলেই বাঁধে বিপত্তি ভ্যান নিয়ে যাওয়া দূরের কথা হেঁটে যাওয়া মুশকিল।
অত্র মহল্লার সাইমা, সালমান, রাকিবুলসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলা শহরে আমাদের নিয়মিত শহরে যাতায়াত করতে হয়। এই সামান্য রাস্তা যেন আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকাবাসী নিজেদের অর্থায়নে কিছু কিছু স্থানে বালু, ইটের গুড়া, দালান কোঠা ভাঙ্গার অবশিষ্ট অংশ ক্রয় করে কোনো রকম যাতায়াতের উপযোগী করেছে আমরা স্থায়ী একটি সমাধান চাই৷
তারা আরোও বলেন, রাস্তাটি উত্তরে বিশাল মাঠের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার হলে কৃষকদের জন্যও কৃষি কাজে উপকার আসবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, গয়েশপুর ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আমিনুর ইসলাম জানান, মহল্লারটির রাস্তা সীমান্তবর্তী এলাকায়। আমি দোগাছী ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এস এম ওয়ারেসের সাথে আলোচনা করে সমাধান করার চেস্টা করবো।
আলীম