ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানে গুপ্তচরবৃত্তি করতে গিয়ে ইসরাইলের হারমিস ড্রোন ধ্বংস

প্রকাশিত: ০১:০২, ১৯ জুন ২০২৫; আপডেট: ০১:০৩, ১৯ জুন ২০২৫

ইরানে গুপ্তচরবৃত্তি করতে গিয়ে ইসরাইলের হারমিস ড্রোন ধ্বংস

দীর্ঘ এক বছরের প্রস্তুতি শেষে ইরানে সরাসরি হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর থেকেই পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। এই সংঘাতে দুই পক্ষই ব্যবহার করছে সর্বাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ, ধ্বংস হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও।

ইসরায়েল এ হামলায় ব্যবহার করেছে স্টিলথ যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। তবে ইরানের দাবি, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় তারা ধ্বংস করেছে ইসরায়েলের ২৮টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-নির্মিত এফ-৩৫ স্টিলথ জেটও, যা সাধারণত রাডারে ধরা পড়ে না।

তেহরানের প্রেস টিভি জানায়, উত্তর-পশ্চিম ইরানের তাব্রিজ, কেরমানশাহ ও বন্দর আব্বাসের আকাশে গুলি করে নামানো হয়েছে একাধিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান।

ইরান বলছে, তাদের মাল্টিলেয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে রয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বাভহাত-৩৭৩, খোরদাদ-১৫ এবং রাশিয়ার এস-৩০০। পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে লং ওয়েভ রাডার, অপটিক্যাল ট্র্যাকিং ও সিগন্যাল ট্রায়াঙ্গুলেশনের মতো উন্নত প্রযুক্তি, যা স্টিলথ জেট শনাক্তে কার্যকর।

সর্বশেষ, ইরানের ইসফাহান প্রদেশে ধরা পড়ে ইসরায়েলের হার্মিস-৯০০ কোজাপ ড্রোন, যার দাম প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার। তেহরানের দাবি, গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে এই ড্রোনটি প্রবেশ করেছিল। এই মডেলটি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ব্যবহৃত হলেও ইরানে কার্যকারিতা হারিয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান।

তবে এই হামলার খবরকে 'প্রপাগান্ডা' বলেই উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। যদিও হার্মিস ড্রোন ধ্বংসের বিষয়টি স্বীকার করেছে তারা।

এদিকে ইরান জানিয়েছে, ধ্বংস হওয়া কয়েকটি বিমানের পাইলটদের মধ্যে দুজন এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ ইসরায়েল।

বিপর্যয়কর এই পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে নতুন করে বড় ধরনের যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।

মিমিয়া

আরো পড়ুন  

×