
ছবিঃ সংগৃহীত
ব্রিটিশরা যখন ভারতে পা রাখে তখন মশার অত্যাচার থেকে বাঁচতে তুলসীর শরণাপন্ন হয়। তারা বাংলোর চারদিকে তুলসী ও নিমের গাছ লাগিয়ে নিল। ব্রিটিশদের বিস্ময়ে পরিণত হয় তুলসী গাছ। তারা একে বলত 'মসকিউটো প্লান্ট'।
হঠাৎ খুসখুসে কাশি কিংবা সর্দির অস্বস্তি দূর করতে চাইলে তুলসী পাতা বেশ কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অল্প ঠান্ডা-সর্দিতে ওষুধের বদলে ভেষজ টোটকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিশেষ করে শিশুদের জন্য ওষুধের বিকল্প হিসেবে এসব ভেষজ খুবই উপকারী। জেনে নিন ঠান্ডা, সর্দি, কাশি নিরাময়ে কীভাবে খাবেন তুলসী।
কাশি হলে যেকোনো ওষুধের চেয়ে বেশি কার্যকরী হলো তুলসি পাতা ও মধু। এর প্রমাণ মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়ও। কিন্তু তুলসি কেন উপকারী তা জানেন কি? তবে শুকনো কাশি এবং ফাঁপা কাশির মধ্যে রয়েছে পার্থক্য। সব ধরনের কাশির ক্ষেত্রে কিন্তু তুলসি পাতা কাজ করে না। আপনি যদি কাশি কমানোর জন্য দিনের যেকোনো সময় যেকোনোভাবে এটি খেয়ে নেন, তাতে ঠিকভাবে কাজ করবে না।
কাশিতে তুলসি পাতা যেভাবে উপকার করে
কাশি নিরাময়ের ক্ষেত্রে তুলসি পাতা ব্যবহারে অন্যতম কারণ হলো, কাশি হলে আমাদের শরীরে প্রদাহ বেশি থাকে। যে কারণে এসময় খাবার সহজে হজম হতে চায় না। তুলসি পাতা কিন্তু সহজেই হজম করা সম্ভব। এটি খুব হালকা একটি উপাদান।
তুলসি পাতা শুকনো এবং গরম প্রকৃতির, যে কারণে গলার কাছে ও ফুসফুসে আরাম দিতে পারে। তুলসি পাতা খেলে ক্ষুধা না লাগার সমস্যাও দূর হয়। মুখে রুচি বাড়ে। খাবার হজমে সাহায্য করে এই পাতা।
তুলসি পাতার রস কীভাবে খাবেন?
১টি বা ২টি তুলসি পাতা, ২ টেবিল চামচ মধু, আধা চিমটি হলুদের গুঁড়া, আধা চিমটি লং পেপার, আধা চিমটি কালো গোলমরিচ, সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার সেখান থেকে রস বের করে নিন।
পাঁচ মিলি করে দিনে ২/৩ বার এটি খেতে পারবেন। যেহেতু প্রতিটি উপাদান খুব গরম প্রকৃতির, তাই দুই সপ্তাহ খাওয়ার পর এটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অনেকে সকালে উঠেই তুলসি পাতা কাচা চিবিয়ে খেয়ে থাকেন, সেটি মোটেই ঠিক নয়। এই রস খাওয়ার ৫-১০ মিনিট পর হালকা গরম পানি খাবেন। সবচেয়ে ভালো হয় কৃষ্ণ তুলসি খেতে পারলে। সেটি পাওয়া না গেলে সাধারণ তুলসি পাতা খাবেন।
আলীম