
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এই ভাষণে তিনি ইরানিদের সাহস, ধৈর্য ও ঈমানদার মানসিকতার প্রশংসা করে বলেন, “ইরানি জাতি প্রমাণ করেছে যে তারা পরিণত, সাহসী ও সময়নিষ্ঠ।”
তিনি বলেন, সম্প্রতি গাদির উৎসবে ইরানিদের ব্যাপক অংশগ্রহণ, জুমার নামাজ শেষে তাদের মিছিল—সবই প্রমাণ করে জাতির চেতনার উচ্চতা ও নৈতিক শক্তি। এ সময় খামেনি এক নারী টিভি উপস্থাপিকার ‘তাকবির’ প্রদানের ঘটনাকে “শত্রুর মুখে জাতির শক্তির প্রতীক” বলে আখ্যা দেন।
ইসরায়েলি আগ্রাসন ও যুক্তরাষ্ট্রের ভুমিকা:
খামেনি বলেন, “এই হামলা ছিল ইসরায়েলি শত্রুর এক নির্বোধ আগ্রাসন ও বিদ্বেষপূর্ণ কাজ। এমন সময় এই ঘটনা ঘটেছে যখন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মধ্যস্থতামূলক আলোচনায় ছিল এবং ইরানের পক্ষ থেকে কোনো সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, “এই অঞ্চলে আমেরিকার হস্তক্ষেপ ও ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া তাদের জন্যই ক্ষতির কারণ হবে। সামরিক হস্তক্ষেপ করলে তা হবে তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।”
ইরান কখনও আত্মসমর্পণ করবে না:
খামেনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ইরান কারও চাপের কাছে নত হয় না। শান্তি চাপিয়ে দিলেও, যুদ্ধ চাপিয়ে দিলেও—ইরান তার অবস্থানে অটল। যারা ইরানের ইতিহাস জানে, তারা কখনো এ জাতিকে আত্মসমর্পণের কথা বলবে না।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “যারা ভয় দেখায়, তাদের ভয় পেলে চলবে না। ইরানি জাতি ভয় পায় না। আমরা কারও আগ্রাসন করিনি, কিন্তু কারও আগ্রাসন মেনে নেওয়ারও লোক নই।”
শেষ কথায় খামেনির বার্তা:
খামেনি বলেন, “আমাদের শক্তি ও আস্থা আল্লাহর উপর। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী, সেবাপ্রদানকারী, সৈন্য—সবাই যেন তাদের দায়িত্ব দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করে যায়। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন, বিজয় সেখান থেকেই আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানি জাতি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে বিজয়ী হবে, ইনশাআল্লাহ। ইসরায়েল তার অপরাধের শাস্তি এখন পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও পাবে।”
আলীম