ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

প্লাস্টিক নিয়ে সতর্কবার্তা

সিএনএন

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১৮ জুন ২০২৫

প্লাস্টিক নিয়ে সতর্কবার্তা

প্লাস্টিককে সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা

বাজার কিংবা দোকানে গিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগ না পেলে রাগ হওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এ ছাড়াও দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্লাস্টিককে সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা কার্যত অসম্ভব হয়ে গেছে। প্যাকেজড পানীয় থেকে চিপস, জামা কাপড় কেনা, মাছ, সবজি- সব কিছুতেই প্লাস্টিকের উপস্থিতি। আর এই প্লাস্টিকই ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে পরিবেশে, জীববৈচিত্র্যে ও মানুষের জীবনে। আমাদের চরম নিঃস্পৃহতার কারণেই চারপাশ থেকে আমাদের ঘিরে ফেলছে প্লাস্টিক দৈত্য।
১৯৫০ সালে সারাবিশ্বে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদিত হতো দুই মিলিয়ন টনের আশপাশে। ২০১৫ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪১৯ টনের বেশি। বর্তমানে তা ৪৬০ টনের কাছাকাছি। তথ্য বলছে, এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে বিশ্বে প্লাস্টিক উৎপাদিত হবে ১৪৮০ মিলিয়ন টনের বেশি। সময়ের সঙ্গে প্লাস্টিকের উৎপাদন যেমন বেড়েছে তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্লাস্টিক বর্জ্য। যা ক্রমেই জমছে আমাদের এই পৃথিবীতে, জমছে সমুদ্রের জলে, নদী নালায়। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।
সম্প্রতি এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালে পৃথিবীজুড়ে মোট ২০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি মানুষ পৃথিবীর বুকে বছরে ২৮ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলেছেন। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬৬ শতাংশ জনসংখ্যা এমন এলাকায় বসবাস করেন যেখানে স্থানীয় ব্যবস্থাপনার ক্ষমতার চেয়ে প্লাস্টিক বর্জ্যরে পরিমাণ বেশি।
বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন আনুমানিক ২০০০ ট্রাক প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হচ্ছে পৃথিবীর প্রতিটি সমুদ্র, নদী, জলাশয়ে। এক সমীক্ষা অনুসারে, প্লাস্টিক দূষণের সমস্যা খুবই গুরুতর আকার ধারণ করছে। বিশেষ করে, জলবায়ু পরিবর্তন, বাস্তুতন্ত্রের অবক্ষয় এবং সম্পদের ব্যবহারসহ অন্যান্য পরিবেশগত চাপের পাশাপাশি প্লাস্টিকের পরিবেশগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিগুলোর দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
- সিএনএন

×