
ছবিঃ সংগৃহীত
আপনার গুরুত্বপূর্ণ একটি সিম হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে? ভাবছেন ব্যাংক, বিকাশ বা ফেসবুক আইডির সঙ্গে যুক্ত নম্বরটি হারিয়ে ফেললেন? আতঙ্কিত হবেন না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কিছু ধাপ অনুসরণ করলে আপনি বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমটি আবার ফেরত পেতে পারেন।
📵 কী কারণে সিম বন্ধ হয়?
যদি কোনও সিম টানা ৪৫০ দিন ব্যবহার না করা হয়, অর্থাৎ ফোনে কোনো রিচার্জ, কল, এসএমএস বা ইন্টারনেট ব্যবহৃত না হয়—তাহলে সেই সিমকে নিষ্ক্রিয় (inactive) হিসেবে চিহ্নিত করে অপারেটর। এরপর গ্রাহককে অতিরিক্ত ৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়। এইভাবে মোট ৪৮০ দিন বা ১৫ মাস বন্ধ থাকলে অপারেটর সেই সিম রিসাইকেল করে অন্য গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে।
📲 সিম কি ফিরে পাওয়া সম্ভব?
হ্যাঁ, যদি সিমটি এখনও অন্য কারও কাছে রিসাইকেল না করা হয়, তাহলে আপনি সেটি ফেরত পেতে পারেন। এটি নির্ভর করে সিমটি এখনও উপলব্ধ (available) আছে কি না।
📞 কীভাবে জানবেন সিমটি উপলব্ধ আছে কি না?
১. আপনার সিম যেকোনো কোম্পানির হোক না কেন (গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল)—
২. ওই কোম্পানির অন্য একটি সক্রিয় সিম থেকে ১২১ নম্বরে কল করুন (সব কোম্পানির হেল্পলাইন নম্বর একই)।
৩. মেনু অনুসরণ করে কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে সংযুক্ত হোন।
4. প্রতিনিধিকে বলুন, আপনি জানতে চান আপনার পুরনো বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমটি এখনো পাওয়া যাবে কি না।
5. তিনি আপনার কাছ থেকে সিম নম্বর, রেজিস্ট্রেশনকৃত নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি চাইবেন।
6. তথ্য যাচাই করে যদি সিমটি উপলব্ধ থাকে, তিনি আপনাকে জানাবেন যে আপনি সেটি পুনরায় নিতে পারবেন।
🏪 কীভাবে সিম তুলবেন?
-
যদি সিমটি আপনার জন্য উপলব্ধ থাকে, তাহলে নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার বা অনুমোদিত রিটেইল দোকানে যান।
সঙ্গে নিতে হবে:
✅ জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
✅ আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট
সবকিছু মিললে সহজেই আপনি সিমটি ফেরত পেয়ে যাবেন।
সতর্কতা:
সিমটি যদি ইতোমধ্যেই অন্য কাউকে বিক্রি করে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেটি আর ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিম যদি দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হয়, তাহলে এখনই একবার রিচার্জ করে নিন বা অন্তত একবার ব্যবহার করে ফেলুন।
ইমরান