
ছবিঃ সংগৃহীত
২০২৫ সালের ১৮ জুন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে $৩,৩৮৭, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪,০৭,৬৫০ টাকা (প্রতি ডলার ১২০.৩ টাকা ধরে)। এই দাম গতকাল থেকে কিছুটা কম হলেও, গত এক বছরের তুলনায় তা প্রায় ১,২৮,০০০ টাকা বেড়েছে—যা প্রায় ৪৫% বৃদ্ধি। বাংলাদেশে প্রতি ভরি স্বর্ণের গড় মূল্য বর্তমানে প্রায় ১,৫২,৭৫০ টাকা, এবং প্রতি গ্রামের দাম দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২,৬৫০ টাকার মতো। এই উচ্চমূল্যের পেছনে রয়েছে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মুদ্রাস্ফীতি এবং নিরাপদ সম্পদের চাহিদা বৃদ্ধি।
বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখন স্বর্ণকে ঝুঁকিমুক্ত সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করছে। বিশেষত যুদ্ধ, ডলারের অস্থিরতা এবং শেয়ারবাজারের ধসের সময় স্বর্ণে বিনিয়োগ নিরাপত্তা প্রদান করে। Citi-সহ আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমে $২,৮০০ থেকে $৩,০০০-এর মধ্যে থাকতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়তে পারে বলে তারা মনে করছে, কারণ স্বর্ণ এখনো মানুষের বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, স্বর্ণে বিনিয়োগ এখনো কার্যকর একটি মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থমূল্যের অবমূল্যায়ন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রাস্ফীতির সময় স্বর্ণ দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চয়ের মান ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে একবারে বড় পরিমাণে স্বর্ণ না কিনে, ধাপে ধাপে বিনিয়োগ করাই শ্রেয়। বাজারদর বুঝে, বিশুদ্ধতা যাচাই করে এবং নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে স্বর্ণ কেনা বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পথ হতে পারে।
মারিয়া