
ছবিঃ সংগৃহীত
জাতীয় পরিচয়পত্রে (NID) পিতা বা মাতার নামের বানান ভুল, আংশিক তথ্য অথবা ‘লেট’ শব্দটি সংশোধন বা যোগ-বিয়োগ করতে চাইলে নির্ধারিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জমা দিতে হয়। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো, কীভাবে এসব সংশোধনের আবেদন করতে হয় এবং কোন কোন কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
কোন কোন ক্ষেত্রে আবেদন করা যায়:
- পিতা-মাতার নামের বানানে ভুল থাকলে
- নামের কোনো অংশ বাদ পড়লে
- পিতা-মাতার জীবিত থাকা সত্ত্বেও নামের আগে ভুলবশত ‘লেট’ (Late) যুক্ত থাকলে
- পিতা-মাতা মারা গেলে নামের আগে ‘লেট’ যুক্ত করতে চাইলে।
যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজন:
সাধারণ ডকুমেন্টস:
নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (এসএসসি/এইচএসসি/সমমান), যেখানে পিতা-মাতার নাম সঠিকভাবে উল্লেখ আছে।
পাসপোর্ট, জন্ম সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্রান্সক্রিপ্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশিট/টেস্টিমনিয়াল ইত্যাদি, যেখানে সংশ্লিষ্ট নাম পাওয়া যায়।
যদি শিক্ষাগত বা অন্য কোনো সরকারি নথিতে মায়ের নাম উল্লেখ না থাকে, তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা থেকে প্রমাণস্বরূপ একটি সার্টিফিকেট নিতে হবে।
অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- ভাই বা বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (যদি থাকে)
- যদি ‘লেট’ শব্দ ভুলভাবে যুক্ত থাকে, এবং তারা জীবিত থাকেন, তাহলে পিতা বা মাতার জীবিত থাকার সনদ স্থানীয় চেয়ারম্যান/কাউন্সিলরের কাছ থেকে নিতে হবে
- পিতা বা মাতার মৃত্যু হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- উভয় পিতা-মাতা মারা গেলে, উভয়ের মৃত্যুসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- আবেদন প্রক্রিয়া:
উপরোক্ত নথিপত্রসহ সংশ্লিষ্ট আবেদন ফর্ম পূরণ করে নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় অফিসে জমা দিতে হবে। যাচাই-বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যদি প্রয়োজনীয় প্রমাণ যথাযথ মনে করেন, তাহলে নাম সংশোধন করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে।
তবে ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে সংশোধন নাও হতে পারে। তাই সব ডকুমেন্টসের ফটোকপি যথাযথভাবে সত্যায়িত করে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আরও তথ্য জানতে:
নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘National ID Update’-এর ৩ ও ৪ নম্বর সেকশনে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
আলীম