
পপস্টার মিলা
পপস্টার মিলা। সংগীতজীবনে উপহার দিয়েছেন একাধিক জনপ্রিয় গান। সম্প্রতি ‘ইনসাফ’ সিনেমায় ‘আকাশেতে লক্ষ তারা ২.০’ গানটি গেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে এ গানে ঝড় তোলেছেন তিনি। তার গানে পর্দায় ঠোঁট মেলান জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ‘আকাশেতে লক্ষ তারা ২.০’ গানের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর শ্রোতাদের মাঝে ফিরে এলেন মিলা। এ ফেরাকে কেমন ভাবে দেখছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘একটা ভুল ভাঙাতে চাই। আমি কখনো হারিয়ে যাইনি। ২০১৭ সালেও গান প্রকাশ হয়েছে। এরপর করোনা এলো। এমনিতেই অডিও ইন্ডাস্ট্রি চেঞ্জ, নিজের পারসোনাল লাইফে ঝামেলা গেলেও সেটা নিয়ে ভক্তদের মাঝে আগ্রহ ছিল। আমার ক্রাইসিস পিরিয়ডের নিউজগুলোও টক অব দ্য টাউন ছিল। ফিরে আসার কিছু নেই। মিউজিশিয়ানদের আসলে রিটায়ারমেন্ট নেই।’
‘আকাশেতে লক্ষ তারা ২.০’ প্রকাশের পর কেমন সাড়া পাচ্ছেন গায়িকা। সেটি নিয়ে তিনি জানান। মিলা বলেন, ‘আমরা হলাম নাইনটিজ কিডস। যাদের নাম শুনে আমরা বড় হয়েছি, শওকত আলী ইমন তেমনই একজন গুণী মিউজিশিয়ান। উনি ডাকছেন, আমি সম্মানের জন্যই গিয়েছি, গাইলাম। খুবই ভালো লাগল। ঈদের আগেই প্রকাশ হলো ‘ইনসাফ’ সিনেমার এই গান। রিলিজ হওয়ার পর বুঝলাম, শ্রোতারা খুব পছন্দ করছে। ম্যাসিভ হিট। শওকত আলী ইমন ভাই অনেক ট্যালেন্টেড মিউজিশিয়ান। ওনাদের একটা কী জানি ব্যাপার আছে। উনি আমাকে লাকি সিঙ্গার বলেন। এত সুন্দর করে গানটি রিমেক করেছেন। ইমন ভাই না ডাকলে এটা করা হতো না।’
সিনেমার গানে কী নিয়মিত পাওয়া যাবে মিলাকে? তিনি বলেন, ‘ফিল্মে অনেক গান গেয়েছি। ওই সময় ফিল্মের গান ওভাবে প্রমোট হতো না। যেভাবে সলো গান করতাম, ফিল্মে তখন গাইতে চাইতাম না। করলেও অনুরোধে করেছি। শাকিব খানের ‘মাটির ঠিকানা’ সিনেমায় গান করেছি, একসঙ্গে পারফর্ম করেছি। আমাকে চিন্তা করে যদি কেউ গান তৈরি করেন, তাহলে অবশ্যই গাইব।’
স্টেজ শো মানেই মিলার ঝড়, দর্শকের উন্মাদনা। স্টেজ শোর ব্যস্ততা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব সময় স্টেজে আমি সরব। ক’দিন আগেই সৌদি আরবে বড় একটা শো করলাম। দেশকে প্রেজেন্ট করেছি। এটা আমার জন্য বিরাট প্রাপ্তি। ২৪ জুন কানাডায় যাচ্ছি। চারটি শো করব। চলতি মাসের ২৮, ২৯ এবং ৫ ও ১২ জুলাই শো আছে।’
এদিকে মিলা তার নতুন একটি অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে রক শিল্পীদের নিয়ে বিচারক হিসেবে কাজ করলাম। এছাড়া জীবনের সবচেয়ে বড় অ্যাচিভমেন্ট ছিল শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক হিসেবে ওয়ার্কশপ করানো। এখন নিউ জেনারেশনকে পথ দেখাতে পারছি। শিল্পকলা একাডেমি সার্টিফিকেট প্রদান করেছে। আমার জীবনের স্বর্ণালি সময় পার করছি।’
মানুষ ভুল করে, অনুশোচনাও তৈরি হয়। নিজের জীবন সম্পর্কে উপলব্ধি কী? এ বিষয়ে মিলা বলেন, ‘জীবনে মনে হয় না কোনো ভুল করেছি। যা হয়েছে, যেভাবে আপনারা দেখেছেন, যেহেতু পাবলিক ফিগার, কিন্তু জীবন নিয়ে কোনো আফসোস নেই। নিজের মর্জিতে ছিলাম, নিজের মর্জিতে গান করেছি, আবার নিজের মর্জিতেই গান ছেড়েছি। এভাবে জীবনকে লিড করেছি। সংগীতে বিশ বছর পার করেছি। ষোলো বছর বয়সে মিডিয়ায় এসেছি। আমার মিডিয়ায় নিজের বলতে, পরিবারের কেউ ছিল না। সবাই অন্য প্রফেশনের। কখনো যদি মনে হয়, আমি গান গাইব না, তাহলে গাইব না। সত্যি কথা বলেছি, আগামীতেও তাই করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘সব জায়গা থেকে হ্যাপি। আমার জীবনকে কখনো কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
চলার পথে অনেক আপ অ্যান্ড ডাউন থাকে। বাসায় রান্না করি। পিতা-মাতা বৃদ্ধ হচ্ছেন, তাদের সময় দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাকে যারা লালনপালন করছেন, তারা জীবনে যা করেছেন, আমিও যেন তাদের সেটা রিটার্ন দিতে পারি। এটাই তো মানুষের চাওয়া-পাওয়া। চেষ্টা করে যাচ্ছি, সব দিক থেকেই যেন পারফেক্ট হই।’
প্যানেল