
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরান-ইসরাইল সংঘাত গড়িয়েছে ষষ্ঠ দিনে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তার এই ঘোষণার পরপরই ইসরাইলের আকাশসীমা দখলে নিয়েছে ইরান, দাবি করেছে তেহরান। ফলে বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েল সরকার।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। পাল্টা জবাবে খামেনি এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, “মহান হায়দারের নামে যুদ্ধ শুরু হচ্ছে।” ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রাঃ)-এর উপনাম হায়দারকে স্মরণ করে তিনি জানান, “আমরা সন্ত্রাসী শাসনের বিরুদ্ধে কোনো দয়া দেখাব না। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।”
ঘোষণার পরপরই ১৭ জুন রাত ১২টা ৪০ মিনিটের কিছু পর এবং ১৮ জুন ভোরে ইসরাইলে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস অব ইসরাইল’ জানিয়েছে, প্রথম হামলায় প্রায় ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ৪০ মিনিট পর দ্বিতীয় দফা হামলায় আরও ১০টি মিসাইল আকাশ ছুঁয়ে আঘাত হানে বিভিন্ন স্থানে।
ইরানের এলিট ফোর্সের কর্নেল ইমান তাজিক সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছেন, “আজ রাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রমাণ করে, দখলদার বাহিনীর আকাশসীমা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। সেখানকার বাসিন্দারা ইরানের আঘাতের সামনে সম্পূর্ণ অরক্ষিত।” এই মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ইসরাইলের পক্ষ থেকেও এক বিবৃতিতে স্বীকার করা হয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যর্থ হয়েছে একাধিক স্থানে। ফলে বিশ্লেষকরা বলছেন, সংঘাত আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ইমরান