
ছবি:সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ তিনিই থামিয়েছেন।
“আমি যুদ্ধ থামিয়েছি... আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। মোদী একজন অসাধারণ মানুষ। গতকাল রাতে ওনার (মোদীর) সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি করব। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা, আমি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছি,” বলেন ট্রাম্প।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, যিনি বর্তমানে মার্কিন সফরে আছেন, এই সংঘাত থামাতে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ ভূমিকা পালন করেছেন।
“ওই মানুষটি (মুনির) পাকিস্তানের দিক থেকে যুদ্ধ থামাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মোদীও ভারতের দিক থেকে সক্রিয় ছিলেন। দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর। তারা একে অপরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। আমি তা থামিয়ে দিয়েছি,” বলেন ট্রাম্প।
মোদীর পাল্টা বার্তা
তবে এই দাবির কিছু ঘণ্টা পরই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ভারত কখনোই মধ্যস্থতা মেনে নেয় না এবং ভবিষ্যতেও নেবে না।
পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী সাংবাদিকদের জানান, “মে মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত সীমান্তে যা কিছু ঘটেছে, তা নিয়ে সেনা পর্যায়ে সরাসরি আলোচনা হয়েছে। কোনো সময়, কোনো স্তরে, আমেরিকার মধ্যস্থতা বা ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়নি।”
মোদী আরও জানান, এপ্রিল ২২ তারিখে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওতে যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছিল, তার পরই ভারত সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেয় যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তারা কঠোর অবস্থান নেবে। এবং পাকিস্তান যদি কোনো আগ্রাসন চালায়, তবে তার চেয়েও কঠোর জবাব পাবে।
ট্রাম্প-মোদী ফোনালাপ
১৮ জুনের এই দিনেরই সকালে মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে ৩৫ মিনিট দীর্ঘ ফোনালাপ হয়। সেই কথোপকথনে ট্রাম্প জানতে চান মোদী কানাডা সফরের ফাঁকে আমেরিকায় আসবেন কিনা। মোদী জানান, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির কারণে তিনি এখন আসতে পারছেন না, তবে ভবিষ্যতে দু’জনে সাক্ষাতের ইচ্ছা আছে।
ভারতের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এদিকে ট্রাম্প ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস এই সাক্ষাতকে ‘ভারতের জন্য কূটনৈতিক ধাক্কা’ বলেও মন্তব্য করেছে।
মারিয়া