ছবিঃ সংগৃহীত
চলমান ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করা গেলে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটবে এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ এড়ানো যাবে।"
নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বেড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির বর্তমান অবস্থান কোথায়? এবং এমন হুমকির মুখে ইরান কী পদক্ষেপ নেবে?
সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু দাবি করেন, "ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। তারা চিরস্থায়ী যুদ্ধ চায়। আমরা এই আগ্রাসন রুখে দাঁড়িয়েছি, ভবিষ্যতেও দাঁড়াব।"
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কয়েকদিন আগেই ইসরাইল একটি গুপ্ত অভিযান চালিয়ে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল, যা শেষ পর্যন্ত থামিয়ে দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই পরিকল্পনায় খামেনির অবস্থান চিহ্নিত করে তার বাসভবনের আশপাশে ইসরাইলি ড্রোন পাঠানো হয়েছিল বলেও দাবি করে সংস্থাটি।
তবে এবারের নেতানিয়াহুর বক্তব্যে সেই গুঞ্জন আরও জোরালো হলো। যদিও এই বিষয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "অনেক কিছু নিয়ে খবর হয়, যেগুলোর কোনো আলাপই কখনো হয়নি। আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না।"
তবে বাস্তবতা হলো—গত ১৩ জুন ভোররাতে ইরানে এক ভয়াবহ হামলায় দেশটির অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (IRGC) প্রধানসহ অন্তত ২০ জন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলায় খামেনির একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাও প্রাণ হারান। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরাইলই ওই হামলার পেছনে ছিল।
এমন অবস্থায় ইরানের জবাব কী হবে, সেটা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। দেশটির শীর্ষ সামরিক বাহিনী ও রাজনীতিকরা এখনো প্রকাশ্যে কোনো পাল্টা হুমকি না দিলেও, ভেতরে ভেতরে প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি খামেনিকে হত্যার মতো চরম পদক্ষেপে যায় ইসরাইল, তবে পরিস্থিতি দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বা এমনকি আঞ্চলিক পারমাণবিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
আলীম
