ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

অবসরের পর মাসে মাসে আয়! এখনই জেনে নিন পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সুবিধাসমূহ

প্রকাশিত: ১১:৫২, ১৮ জুন ২০২৫

অবসরের পর মাসে মাসে আয়! এখনই জেনে নিন পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সুবিধাসমূহ

ছবি: সংগৃহীত

পেনশনার সঞ্চয়পত্র ২০০৪ সালে প্রবর্তিত একটি মেয়াদি বিনিয়োগ স্কিম, যা মূলত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মচারীদের জন্য চালু করা হয়েছে। এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ ৫ বছর।

বিনিয়োগের পরিমাণ ও প্রাপ্যতা
৫০,০০০, ১,০০,০০০, ২,০০,০০০, ৫,০০,০০০ এবং ১০,০০,০০০ টাকার মূল্যের সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়। এটি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে কেনা ও নগদায়ন করা যায়।

মুনাফার হার
প্রথম বছর থেকে পঞ্চম বছর পর্যন্ত মুনাফার হার ধাপে ধাপে বাড়ে।
৭.৫ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগে প্রথম বছরে মুনাফা ১০.২৩%, যা পঞ্চম বছরে গিয়ে দাঁড়ায় ১২.৫৫%।
৭.৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে প্রথম বছরে ১০.১১% এবং পঞ্চম বছরে ১২.৩৭% হারে মুনাফা পাওয়া যায়।

মেয়াদপূর্তির আগেই নগদায়ন
মেয়াদপূর্তির আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙালে নির্ধারিত হার অনুযায়ী মুনাফা প্রাপ্য হবে। তবে অতিরিক্ত পরিশোধিত অর্থ মূলধন থেকে সমন্বয় করে অবশিষ্ট টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

উৎসে কর সুবিধা
৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার ওপর কোনো উৎসে কর কাটে না। তবে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার ওপর ১০% হারে উৎসে কর প্রযোজ্য।

যারা কিনতে পারবেন
এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত সরকারি চাকরিজীবীর স্বামী/স্ত্রী/সন্তান, যারা পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী।

সর্বোচ্চ বিনিয়োগ সীমা
প্রাপ্ত আনুতোষিক ও চূড়ান্ত ভবিষ্য তহবিল মিলিয়ে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

অতিরিক্ত সুবিধাসমূহ

  • বিনিয়োগকারীরা প্রতি মাসে মুনাফা পাবেন।

  • নমিনি নিয়োগ করা যাবে।

  • বিনিয়োগকারীর মৃত্যুর পর নমিনি সঙ্গে সঙ্গেই অথবা মেয়াদ শেষে সঞ্চয়পত্র ভাঙাতে পারবেন।

এটি অবসরপ্রাপ্তদের জন্য একটি ঝুঁকিমুক্ত, নির্ভরযোগ্য ও লাভজনক বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত।

 

তথ্যসূত্র: জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর

আবির

×