ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

ফরিদপুরে পদ্মার ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে মানুষের

আবিদুর রহমান নিপু, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ১৫:০৪, ১৮ জুন ২০২৫

ফরিদপুরে পদ্মার ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে মানুষের

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।

ফরিদপুর জেলার সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী পাড়ের বেশ কয়েকটি রাস্তা এরই মধ্যে ভেঙে গেছে। ভাঙনে অনেকেই বসতভিটা হারাতে বসেছেন। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে ভিটেমাটি ফেলে অনেকেই তাদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।

ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নজরদারি ও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সব মিলিয়ে হঠাৎ করে পদ্মার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষ।

জানা গেছে, দুটি উপজেলার কমপক্ষে ৬০-৭০টি পরিবারকে তাদের ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অনেকে নদীর পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। অনেকে আবার বাড়ির চাল খুলে অন্য জায়গায় রাখলেও খুঁটি ও বেড়া লাগিয়ে রেখেছেন। যদি ভাঙন থেমে ভিটেটুকু টিকে থাকে সেই আশায়।

সদরপুর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর, নুরুদ্দিন সরদারকান্দি, কাচিকাটা গ্রাম, নন্দলালপুর, ফকির কান্দি, তালপট্টির চর, কাড়ালকান্দি, জঙ্গিকান্দি, জামাল শিকদার কান্দি এবং চরমানাইর ইউনিয়ন ও চরনাসিরপুর ইউনিয়নের শিমুলতলী ঘাট, কাজীরসুরা, দূর্বারটেক, মফিজদ্দিনের কান্দি, হাফেজ কান্দি, রাড় চরগজারিয়া ও গিয়াস উদ্দীন মুন্সীর কান্দি গ্রাম ভাঙছে।চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রাম, সদর ইউনিয়নের টিলারচর ও এমপি ডাঙ্গী গ্রাম, চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চরকালকিনিপুর, চরমির্জাপুর, চরতাহেরপুর, চরকল্যাণপুর, দিয়ারা গোপালপুর গ্রামেও পদ্মা নদীর ভাঙন বেড়েছে।

এ ব্যাপারে চরভদ্রাসনের চর ঝাউকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা বলেন, “গত প্রায় ১৫ দিনে এ ইউনিয়নের কমপক্ষে ৫টি পরিবারের ভিটেমাটি, ঘর-বাড়ি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ইউনিয়নে অন্তত ৩ হাজার বিঘা বাদামের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।”

সদরপুরের আকোটের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন, “পদ্মার ভাঙন তীব্র আকারে বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষ।” 

চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, “পদ্মা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।”

মিরাজ খান

×