
ছবি: সংগৃহীত
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর কিছু নির্দিষ্ট ফল যেমন: আঙ্গুর, আপেল এবং ব্লুবেরি প্রাকৃতিকভাবে লিভারের বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সহায়তা করে, যার ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
নারায়ণা হেলথ (ভারতের একটি বেসরকারি হাসপাতাল নেটওয়ার্ক)-এর মতে, লিভার ডিটক্স বা বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশন প্রক্রিয়া ফ্যাটি লিভার রোগ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রোগের মূল কারণ হতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা স্থূলতা, যা দীর্ঘমেয়াদে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে।
নিচে এমন ৪টি ফলের নাম দেওয়া হলো, যা লিভারের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় বিশেষভাবে উপকারী:
১. আঙুরফল
আঙুরফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ন্যারিনজেনিন নামের একটি ফ্ল্যাভোনয়েড, যা লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি লিভারের ডিটক্স প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. ব্লুবেরি
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ব্লুবেরিতে আছে অ্যান্থোসায়ানিন নামক যৌগ, যা লিভারের প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্লুবেরি খেলে লিভার কোষ সুরক্ষিত থাকে ও লিভার কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
৩. আপেল
আপেল পেকটিন নামের একধরনের ফাইবারের ভালো উৎস, যা শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে লিভারের ওপর চাপ কমে। এছাড়াও আপেলের উচ্চ পানির পরিমাণ লিভারকে হাইড্রেট রাখতে সহায়ক, যা প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সে সাহায্য করে।
৪. লেবু
লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা লিভারের এনজাইম উৎপাদন বাড়িয়ে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এছাড়াও লেবু বাইল (পিত্তরস) উৎপাদনে সহায়তা করে, যা লিভারের বর্জ্য অপসারণে কার্যকর।
আবির