আনসারুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-বাখিতি ঘোষণা করেছেন, ইয়েমেন ইসরায়েলি শাসনের বিরুদ্ধে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে সমর্থন করবে।
আল-বাখিতি বলেন, ইয়েমেন গাজা উপত্যকাকে যেভাবে সমর্থন করেছে ঠিক সেভাবেই ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে সমর্থন করবে।
ইয়েমেনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি মাহদী আল-মাশাতও তার দেশের ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি অন্যান্য দেশকে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনে জড়িত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন তেহরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে।
হামাস বলেছে, উত্তেজনা বৃদ্ধির যেকোনো পরিণতির জন্য ইসরায়েলি সরকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে দায়ী।
তাছাড়া, ইরাকের ফাতহ জোটের সদস্য আলী হুসেইন বলেছেন যে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান হামলা এবং যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলি চুপ থাকবে না।
১৩ জুন রাতে ইসরায়েলি সরকার বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন চালিয়ে ইরানি ভূখণ্ডে, যার মধ্যে আবাসিক ভবনও রয়েছে, আক্রমণ করে। লক্ষ্যবস্তু হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। ঘরবাড়িতে সরাসরি আঘাত হানার ফলে বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
এর কিছুক্ষণ পরেই, ইরানি সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের জন্য "নরকের দরজা খুলে দেওয়ার" প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলের অভ্যন্তরে শাস্তিমূলক হামলা শুরু করে, তেল আবিব এবং হাইফা সহ অন্যান্য এলাকায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে আঘাত করে।
ইরানি কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যতদিন প্রয়োজন ততদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সজিব
