গত কিছু বছর ধরে ব্যাংক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতারণার খবর বেড়েই চলেছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, দেশে বা বিদেশে থাকাকালে তাদের ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) বা অন্য কোনো সঞ্চয়ে জমা রাখা অর্থ ব্যাংক একাউন্টে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এসব বিষয়কে সামনে রেখে, গ্রাহকদের সুরক্ষায় নিচের ৬টি পরামর্শ দেওয়া হলো—
১. ব্যাংক বাছাইয়ে সতর্কতা
যে ব্যাংকে আপনি এফডিআর করতে চান, সেটি অবশ্যই যাচাই করে বেছে নিন। আমরা কোনো নির্দিষ্ট ব্যাংকের নাম বলছি না, কারণ এটি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে। আপনার পছন্দনীয় এবং বিশ্বাসযোগ্য ব্যাংকে যাচাই-বাছাই করে একাউন্ট খুলুন।
২. একাউন্ট ও ডিপোজিটের শর্তাবলি ভালোভাবে বুঝে নিন
আপনি যে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পোস্ট অফিস বা সঞ্চয়পত্র স্কিম বেছে নিচ্ছেন, তার সব নিয়ম-কানুন ভালোভাবে বুঝে নিন। কী হারে লাভ দেবে, কত মাস বা বছরে কত টাকা পাবেন—সব তথ্য পরিষ্কারভাবে জেনে তারপরই সই করুন।
৩. স্বাক্ষর দিন সাবধানে
ডিপোজিট করার সময় যে স্বাক্ষর দেবেন, সেটি এমনভাবে করুন যা আপনার জন্য সহজ হলেও নকলকারীদের জন্য কঠিন। প্রতারকরা অনেক সময় সহজ স্বাক্ষর নকল করে টাকা তুলে নেয়। তাই এই বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকুন।
৪. একাউন্টে টাকা জমা হয়েছে কিনা যাচাই করুন
এফডিআর করার পরই ব্যাংকে আপনার নামে একটি একাউন্ট খোলা হয়, যেখানে জমা টাকা রাখা হয় এবং এই টাকার উপর ভিত্তি করে লাভ দেওয়া হয়। আপনি আপনার মোবাইলে এসএমএস পাবেন কিনা, তা নিশ্চিত করুন এবং সময়মতো ব্যালেন্স চেক করুন।
৫. ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করুন
ডিপোজিটের পরে ব্যাংকের অফিসে গিয়ে আপনার একাউন্ট স্টেটমেন্ট দেখে নিন। এতে করে নিশ্চিত হতে পারবেন, আপনার টাকা যথাযথভাবে একাউন্টে জমা হয়েছে কিনা এবং কেউ প্রতারণা করছে কিনা।
৬. বৈধ ডকুমেন্টস বুঝে নিন
আপনার ডিপোজিটের বিপরীতে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে একটি বৈধ কাগজ বা চেক দেওয়া হবে। সেটি সঠিক ব্যাংকের নাম, টাকার পরিমাণ এবং জমা তারিখ অনুযায়ী যাচাই করে বুঝে নিন। ভবিষ্যতে টাকা উত্তোলনের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি।
আপনার কষ্টার্জিত অর্থ যেন কোনো প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে, সে বিষয়ে সচেতন থাকাই সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা। উপরের প্রতিটি ধাপ মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে আপনি অনেকটাই নিরাপদ থাকতে পারবেন।
নুসরাত
