জীবনে ভালো কিছু করতে হলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তা অর্জন করতে হয়। পরিশ্রম ব্যতীত কোনো নতুনত্ব আসে না। প্রতিটি উদ্ভাবনের পেছনেই লুকায়িত থাকে মেধা ও শ্রম।
‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর আঞ্চলিক পর্বের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের আয়োজনে আজ বুধবার সকাল পৌনে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন হলে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদ। সভাপতিত্ব করেন সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রহিম।
অনুষ্ঠানের সূচিতে ছিল—আইসিটি কুইজ, দাবা প্রতিযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও সাইবার সিকিউরিটি সেমিনার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় বিভিন্ন হাইস্কুলের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী দিনব্যাপী এই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, "তোমরাই আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তোমরাই বাংলাদেশ। তোমাদের উপরই বাংলাদেশ নির্ভর করছে।" তিনি আরও বলেন, "মেধা বিষয়টি আপেক্ষিক। ভালো করতে হলে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। নিজেদের সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং ভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে তোমাদেরই হাল ধরতে হবে।"
তিনি স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সামনে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ এবং বিল গেটসের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্পও তুলে ধরেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, "এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে তোমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। তোমাদের মাধ্যমেই এ দেশ ও জাতি এগিয়ে যাবে। ভালোভাবে শিখতে হবে, কারণ তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ।"
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, "এ ধরনের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা ভালো প্রোগ্রামার পাব, যারা দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারবে। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ—এই খাতে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।"
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সিএসই বিভাগের প্রভাষক নিতুন কুমার পোদ্দার।
সজিব
