
ছবি: সংগৃহীত
ব্যবহার শেষে ফেলে দেওয়া পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিক এখন আর শুধুই আবর্জনা নয়—বরং তা রূপ নিচ্ছে কর্মসংস্থানের বড় এক উৎসে। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, যা বদলে দিচ্ছে অনেকের জীবন।
‘মেসার্স মদিনা স্টোর’ নামের এই কারখানাটি পুরুষের পাশাপাশি দরিদ্র, বেকার ও অসহায় নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে এই কারখানায় প্রায় ৫০ জন শ্রমিক কাজ করছেন, যার মধ্যে ২৬ জনই নারী।
গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর ও মুলাদীসহ বরিশালের উত্তর জনপদের বিভিন্ন হাট-বাজারের ক্ষুদ্র ভাঙারি ব্যবসায়ীরা গ্রাম থেকে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল ও অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ করে কারখানায় পৌঁছে দেন। অনেক সময় তারা নিজেরাই সেগুলো বিক্রির জন্য কারখানায় নিয়ে আসেন।
কারখানার শ্রমিকরা এসব প্লাস্টিক বর্জ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ক্রয় করে আনেন। পরে সেগুলো পরিষ্কার করে মেশিনে দানা (পেলেট) তৈরি করা হয়, যা পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
কারখানায় কর্মরত নারী-পুরুষ শ্রমিকরা জানিয়েছেন, প্লাস্টিক আবর্জনা থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন। কেউ পরিবার চালাচ্ছেন, কেউবা সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ জোগাচ্ছেন।
কারখানার মালিক মজিবর বেপারী জানান, "নিজ এলাকায় কারখানা স্থাপন করায় আশপাশের অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তারা এখন স্বনির্ভরভাবে জীবনযাপন করতে পারছেন।"
পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি এই উদ্যোগ গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলেও মত স্থানীয়দের।
আসিফ